সুকুমার সরকার, ঢাকা: তারেক জিয়ার জন্যই বাংলাদেশে (Bangladesh) বিনিয়োগ করেনি টাটা গোষ্ঠী। এমনটাই বিস্ফোরক অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের।
এক ভিডিও বার্তায় জয় দাবি করেন, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়া ও তাঁর সঙ্গী গিয়াসউদ্দিন মামুনের অনিয়ন্ত্রিত লোভের খেসারত বাংলাদেশকে দিতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অতিলোভের কারণে ২০০৫ সালে টাটার তিন বিলিয়ন ডলারের মেগা বিনিয়োগ থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছিল।” নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও বার্তায় জয় আরও বলেন, “কেন টাটা কোম্পানি সেই সময় বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে অতি আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে সরে আসে? কেন এদেশের যুব সমাজ তাদের কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়? বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে (২০০১ থেকে ২০০৬) তাদের কুকীর্তির কারণে বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় টাটা-সহ অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।”
তারেক জিয়াকে তুলোধোনা করে জয় অভিযোগ করেন, টাটা গোষ্ঠীর কাছে ঘুষ চেয়েছিলেন তারেক ও মামুন। ওই ঘটনা ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দরবার পর্যন্ত গড়ায়। পরে টাটা গ্রুপ নিয়ম অনুযায়ী প্রজেক্ট বাতিল করে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ৮ মে প্রাক্তন জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান ঘোষণা করেন, বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত টাটা গোষ্ঠী। পরিকল্পনা মোতাবেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি ২৫ বছরের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের বিনিময়ে এদেশের রাসায়নিক সার ও ইস্পাত শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল। শুধু তাই নয়, এই বিনিয়োগ চুক্তি সফল হলে বাংলাদেশ টাটার কাছ থেকে ১০ শতাংশ শেয়ারেরও অংশীদার হত। অভিযোগ, সেসময় টাটার পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় তারেক এবং তার ‘ডানহাত’ খ্যাত গিয়াসউদ্দিন মামুন ও সিলভার সেলিম রতন টাটার সঙ্গে আলাদাভাবে একান্ত বৈঠক দাবি করেন। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তখন বাকি পরিচালকরা উঠে যান। গিয়াসউদ্দিন মামুন এসময় রতন টাটাকে ১০ শতাংশ কমিশনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এ প্রস্তাব শোনা মাত্র টাটার মালিক তা প্রত্যাখ্যান করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.