সুকুমার সরকার ঢাকা: ভোটমুখী বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি চালু করল আমেরিকা। সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের ‘সাজা’ দিতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছে ওয়াশিংটন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এনিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে নতুন ভিসা নীতি চালু করার কথা জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাতে খোদ নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ইঙ্গিতে আমেরিকাকে বার্তা দিয়ে হাসিনা বলেন, “ওরা কি ২০০১ সালের অবৈধ নির্বাচনের কথা ভুলে গিয়েছে?” ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যা, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, হ্যাঁ-না ভোটের উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে এই সচেতনতা তখন তাদের (আমেরিকা) কোথায় ছিল? নির্বাচন বানচালের চেষ্টা দেশের বাইরে থেকে যেন না হয়। এটি হলে কিন্তু বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ (যারা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে) দিয়ে দেবে।” হাসিনার কথায়, “জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর হোক তা আমরাও চাই। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়েছে।”
আমেরিকার নতুন ভিসা নীতি হাতিয়ার করেই হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা দাবি করেছে দেশের প্রধান বিরোধী দলটি। খালেদা জিয়ার দলের তোপ, “সবাই জানে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। এবার ইস্তফা দিন প্রধানমন্ত্রী।” তবে, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও সাম্প্রদায়িকতার কালি লেগে রয়েছে খোদ বিএনপি-র গায়ে। পাকপন্থী ও সংখ্যালঘু বিদ্বেষী জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে খালেদার দলের মাখামাখি যে কতটা তা সবার জানা। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০০১ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের আমলে হিন্দুবিরোধী দাঙ্গার প্রচুর অভিযোগ রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.