সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: টানা লকডাউনের প্রভাব ‘কন্যাশ্রী’তেও। চলতি বছরে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় নতুন করে কন্যাশ্রীর অর্থ পায়নি একজন পড়ুয়াও। কারণ, স্কুল বন্ধ থাকায় ছাত্রীরা আবেদনপত্র পূরণই করতে পারেনি। তবে পুনর্নবীকরণ কাজ কিছুটা হলেও হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে ২৩ মার্চ থেকে লকডাউন জারি হয়েছে দেশে। আর ‘কন্যাশ্রী বর্ষ’ শুরু হয় এপ্রিলে। ফলে ২০২০–২১ কন্যাশ্রী বর্ষে পশ্চিম বর্ধমানে কন্যাশ্রীর লক্ষ্যমাত্রা ৯,৯৪২ জন হলেও একজনকেও এখনও এই পরিষেবা দেওয়া যায়নি স্কুল বন্ধ থাকার কারণে। জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রী (কে–১) (পুর্ননবীকরন) লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭,১৩৪ জনের। সেখানে এখনও পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব হয়েছে ৪৩,১৯০ জনকে। ১ হাজার টাকা করে পেয়েছে ৪২,৪৫৯ ছাত্রী। এই খাতে খরচ হয়েছে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা। কে–২ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২,৮১৫ জনের। এখনও পর্যন্ত এই খাতে ২৫ হাজার টাকা করে পেয়েছে ১,৩৩৬ জন ছাত্রী। মাত্র ১১ শতাংশের মতো। যাতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা।
জেলা স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কে–১ আবেদনের জন্যে সংশ্লিষ্ট ছাত্রীকে ফর্ম নিয়ে তা পূরন করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। তারপর সেই ফর্মে প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্বাক্ষর করে তাঁরই লগইন থেকে আপলোড করতে হয়। কিন্তু লক ডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গোটা প্রক্রিয়াটাই স্তব্ধ হয়ে গেছে। কে–১ পূর্ননবীকরনের জন্যে প্রক্রিয়া এতটা জটিল না থাকায় এইক্ষেত্রে সাফল্য মিলেছে। কে–২ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম শিথিল করে সফলতা এসেছে। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক (কন্যাশ্রী) শুভেন্দু বসু বলেন, “প্রতিকুলতার মধ্যেও আমরা লক্ষ্যমাত্রা একশো শতাংশ সফল করতে জোরদার প্রয়াস চালাচ্ছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.