ধীমান রায়, কাটোয়া: একটাই আম গাছ। আর ওই একটি আম গাছেই ঝুলছে ১২ প্রজাতির আম! তবে প্রাকৃতিকভাবে এমনটা ঘটেনি। এই অসাধ্যসাধন করেছেন কাটোয়ার দেয়াসিন গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ সাহা।
৬২ বছর বয়সি পীযূষবাবু অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাঁর বাড়ির উঠানে বসিয়েছিলেন একটি হিমসাগর প্রজাতির আম গাছ। আর সেই হিমসাগর গাছে যেন একে একে অলঙ্কার পরিয়ে দিয়েছেন তিনি। ওই গাছেই জোড়কলমের মাধ্যমে তিনি ফলাতে শুরু করেছেন আরও ১১ প্রজাতির আম। ভিন্ন স্বাদে, ভিন্ন গন্ধের আম ধরতে শুরু করেছে একটি গাছে। এই কৃতিত্বে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন পীযূষবাবু।
কাটোয়া ২ ব্লকের গাজিপুর পঞ্চায়েতের দেয়াসিন গ্রামে বাড়ি পীযূষ সাহার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। বছর দুয়েক আগে অবসর নিয়েছেন। দুই মেয়ে। দু’জনেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী ইন্দিরাদেবী। ইন্দিরাদেবী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী বরাবরই গাছ পাগল। শিক্ষকতার সময়ও তিনি স্কুলে গাছ লাগাতেন। ছাত্রছাত্রীদেরও বরাবর বনসৃজনে উৎসাহিত করে এসেছেন। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ির উঠানে প্রায় ১৬ বছর আগে একটি হিমসাগর আম গাছের চারা লাগিয়েছিলেন পীযূষবাবু। সেই গাছেই পরবর্তীকালে একের পর এক শাখায় জুড়েছেন ভিন্ন প্রজাতির আম গাছের ডাল। সেইসব ডালেই ধরেছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ ও গন্ধের আম। পীযূষবাবু বলেন, “পূর্বস্থলী এলাকায় আমার এক আত্মীয় আছেন। তিনি নার্সারির ব্যবসা করেন। তাঁর কাছেই কলম তৈরির পদ্ধতি শিখেছি। তারপর বাড়ির এই গাছে তার প্রয়োগ করেছি। সফলও হয়েছি। আমার লক্ষ্য ভবিষ্যতে এই গাছে ২২ প্রজাতির আম ফলাব।” পীযূষবাবু আরও জানিয়েছেন, হিমসাগর গাছে তিনি গত চার-পাঁচ বছর ধরে কলমের মাধ্যমে গোলাপখাস, ফজলি, ল্যাংড়া, বারোমেসে, চৌসা, রানি, আম্রপালি, বোম্বাই, মল্লিকা, জরদাসু এবং চন্দ্রকোষা এই সমস্ত প্রজাতির আম ফলানো শুরু করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.