ছবি: প্রতীকী।
স্টাফ রিপোর্টার: যেমন পাগলা কুকুর, তাকে শায়েস্তা করতে তেমনই শক্ত মুগুর চাই। করোনার (Corona Virus) ক্ষেত্রেও তা-ই। আর সেই লক্ষ্যেই করোনা প্রতিষেধক প্রয়োগের তোড়জোড়কে যতটা সম্ভব শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে সরকার। কোভিড টিকা দিতে বিশেষভাবে তৈরি হচ্ছে ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে প্রায় ১২ লক্ষ সেই সিরিঞ্জ আসছে। ঠিকঠাক লোককে দেওয়া হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে গ্রহীতার মোবাইলে পাঠানো হবে ওটিপি।
রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় লড়াইয়ে নেমেছে আইসিএমআর। তাই প্রথম রাউন্ডেই শত্রুকে ঘায়েল করতে কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। রাজ্যে ভ্যাকসিন আসার আগেই সব সরঞ্জাম মজুত করা হছে। আর এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে রাজ্যে আসছে ১২ লক্ষ ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ (syringes)। এই সিরিঞ্জ দিয়েই রাজ্যের প্রায় ৬ লক্ষ সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী এবং ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের কোভিড টিকা দেওয়া হবে। ফ্রন্ট লাইন স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা দেওয়ার পর প্রবীণ ও কো-মর্বিডদের টিকা দিতে নাম নথিভুক্ত করা হবে। যাঁরা টিকা পাবেন তাঁদের মোবাইলে ওটিপি আসবে বলে জানিয়েছেন এক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
আইসিএমআর এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, গোটা দেশে কোভিড টিকা দেওয়ার জন্য প্রায় ২৩ কোটি ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ তৈরি হবে। দু’টি সংস্থাকে সিরিঞ্জ তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯ কোটি সিরিঞ্জ উৎপাদন হয়েছে। পশিমবঙ্গে সিরিঞ্জ আসবে যোধপুর ও ফরিদাবাদ থেকে। জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৭ কোটি ৭৬ লাখ সিরিঞ্জ তৈরি করে আইসিএমআরকে পাঠানো হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যের চাহিদা অনুযায়ী সিরিঞ্জ আইসিএমআর রাজ্যে পাঠিয়ে দেবে। এটা যেমন একটা দিক, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ,পশ্চিমবঙ্গ সহ ১১টি রাজ্যে কোভিড ভ্যাকসিন প্রোটোকল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, গণহারে করোনা টিকা দেওয়ার জন্য সব রাজ্যকে ব্লকভিত্তিক ‘ভ্যাকসিন বুথ’ তৈরি করতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের যৌথভাবে ‘ভ্যাকসিন নোডাল’ অফিসারের দায়িত্বে থাকবেন। করোনা টিকা নেওয়ার পর অন্তত আধঘণ্টা বুথে থাকতে হবে গ্রহীতাকে। একেকটি বুথে টিকার ব্যবহৃত এবং অব্যবহৃত ভয়েলের হিসাব রাখতে হবে। প্রতিটি বুথে কোল্ডচেন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, করোনা প্রতিষেধক টিকা পেতে প্রতিটি ব্লকে আধার, ভোটার, প্যান কার্ড-সহ যে কোনও বারোটি অনুমোদিত পরিচয় পত্র দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। তারপরই ওই ব্যক্তির মোবাইলে ওটিপি পাঠানো হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.