দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পেটের টানে গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুতে ধান কাটতে। কাজ ঠিকঠাকভাবেই শেষ হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথেই বিপত্তি। যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express Accident) ধাক্কায় প্রাণ হারাতে বসেছিলেন ক্যানিংয়ের আদিবাসী পরিবারের অন্তত ১২ জন। তবে কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন সকলে। কথায় আছে, “রাখে হরি তো মারে কে?” ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) থেকে বেঁচে ফিরে যেন সেকথাই আরও একবার সত্য বলে প্রমাণ করলেন তাঁরা।
প্রায় প্রতি বছরই সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে তামিলনাড়ুতে ধান কাটতে যান আদিবাসী পরিবারের ওই ১২ জন সদস্য। যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসে চড়ে ফিরছিলেন তাঁরা। শুক্রবার সন্ধেয় বালেশ্বরের কাছে বাহানাগ বাজারে যেন বিপদ নেমে আসে। আচমকা ট্রেনে প্রবল ধাক্কা লাহে। তাঁরা যে বগিতে ছিলেন সেখানে আগুনও জ্বলতে শুরু করে। কিছু বোঝার আগেই যেন ওলট পালট হয়ে যায় সব কিছু। ট্রেনে ততক্ষণে প্রায় উলটে গিয়েছে। ভরসা জানলা। কোনওক্রমে সেখান থেকে বেরিয়ে ট্রেনের ছাদে চড়েন একে একে। জখম হয়েছেন। তবে প্রাণে বেঁচেছেন সকলেই।
ইতিমধ্যেই পাঠানখালি বিপ্রদাসপুর শম্ভুনগর এলাকার আটজন ক্যানিংয়ে ফিরে এসেছেন। তবে বাকি চারজনের চোট সামান্য গুরুতর। তাই তাঁরা ভরতি ওড়িশার হাসপাতালে। বালেশ্বরের দু্র্ঘটনায় মৃত্যুমিছিলের মাঝে ১২ জনের প্রাণ বাঁচায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন তাঁদের পরিবার-পরিজনেরা। বেঁচে ফিরতে পারায় স্বস্তিতে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া আদিবাসী পরিবারের সদস্যরাও।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.