সুব্রত বিশ্বাস: বালি জগাছার সারফেস ওয়াটার প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ বাড়িতে জল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ১৫০ কোটি টাকার প্রকল্প শেষ হওয়ার পর তা বছর খানেক আগে উদ্বোধন হয়। মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোর আগে বাড়ি বাড়ি জল পাওয়ার কথা ঘোষণা করলেও বঞ্চিত অসংখ্য মানুষজন। ইদানিং মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হওয়ার পর এলাকাবাসীর তরফে যে প্রশ্নটা উঠে এসেছে তা, শেষমেষ জল পাব তো? না আজীবন জল কিনে খেতে হবে?
করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউনে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তবুও এলাকাবাসী জল কিনছেন কুড়ি লিটার পনেরো টাকা দরে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের এই প্রকল্পে যুক্ত আধিকারিকদের কথায়, প্রকল্প শেষ হলে জল পাওয়া যাবে। ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট অর্থদপ্তরের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমতি মিললেই বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়া হবে। ‘জল স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে সংযোগ দেওয়া হবে। যে পাঁচটি পঞ্চায়েতে কাজ সম্পূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দাবি তার মধ্যে তিনটি পঞ্চায়েত দুর্গাপুর ১ এবং ২, নিশ্চিন্দা ও সাপুইপাড়া পঞ্চায়েতে বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঘোষপাড়া পঞ্চয়েতে লাইন হয়ে গেলেও সংযোগ না দেওয়ায় জলকষ্টে ভুগছেন মানুষজন। যদিও কাজ সম্পূর্ণ হয়নি বলে দাবি করেছেন ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশীষ ঘোষ। তিনি বলেন, “এখনও পাইপ বসানোর কাজ চলছে।” একই দাবি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আশিস চট্টোপাধ্যায়ের। যদিও মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিতর্ক ও উন্নয়নমূলক কাজে প্রভাব পড়ার বিষয় নিয়ে কেউই কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
জগাছা ব্লকের আটটি পঞ্চায়েতের পাঁচটিতে জলের লাইন বসেছে। তিনটিতে কাজ চলছে। পাঁচটির মধ্যে যে পঞ্চায়েতগুলিতে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে তাতে বাড়ি বাড়ি থেকে ছ’হাজার টাকা নিয়ে সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। পরে রাজ্যের ‘জল স্বপ্ন’ প্রকল্পে বিনা পয়সায় লাইনের সংযোগ দেওয়ার কথা ঘোষনা হওয়ায় ডিপিআর অর্থমন্ত্রকে পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য। অনুমতি মিললেই জলের সংযোগ দেওয়া হবে। চামরাইল, জগদিশপুর, চকপাড়া আনন্দনগর এই তিনটি পঞ্চায়েতে পাইপ পাতার কাজ চললের সেখানে সংশ্লিষ্ট দফতরের ডিপ টিউবওয়েল আছে বলে জানান হয়েছে। অনুমতিতে বিলম্ব হলে প্রায় চল্লিশ হাজার বাড়ির সংযোগে দেরি হবে। মানুষজন জল কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন। এক শ্রেণীর জল ব্যবসায়ীদের রমরমা কারবারকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে বলে এলাকাবাসী মনে করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.