ফাইল ছবি।
অর্ণব দাস, বারাকপুর: ঘোলায় ট্রলিতে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে অশান্তির জেরেই ভাগারামকে খুনের ছক কষে কৃষ্ণপাল সিং ও করণ সিং। পরিকল্পনামাফিক ভাগারামের কফিতে বিষ মিশিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। অচৈতন্য হয়ে পড়তেই গলার নলি কেটে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর নিপুণভাবে দেহ পাচারের ছক কষে দুই যুবক। কিন্তু ক্যাব চালকের সঙ্গে বচসায় জড়াতেই বানচাল ছক। গ্রেপ্তার ২ যুবকই।
জানা গিয়েছে, মৃত ভাগারাম ও দুই অভিযুক্ত কৃষ্ণপাল সিং ও করণ সিং, সকলেই রাজস্থানের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে গিরিশ পার্কে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিল তারা। করণ ও কৃষ্ণপালের থেকে চুড়িদারের পিস কিনতেন ব্যবসায়ী ভাগারাম। ধৃতদের দাবি, ৮ লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল ভাগারামের। দীর্ঘদিন ধরে টাকা চাইলেও দিচ্ছিলেন না ভাগারাম। সেই টাকাকে কেন্দ্র করেই সমস্যার সূত্রপাত। এক পর্যায়ে ভাড়া বাড়িতেই ভাগারামকে খুনের ছক কষে অভিযুক্তরা। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে কফির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় যুবককে। ভাগারাম অচৈতন্য হলে তাঁকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর গলার নলি কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে ধৃতরা। খুনের পর গোটাদিন ব্যবসা করে করণ ও কৃষ্ণপাল। প্ল্য়ান ছিল রাতে দেহ পাচারের।
সেই মতো মঙ্গলবার রাতে ট্যাক্সিতে ট্রলি নিয়ে দুই যুবক পৌঁছে যায় নাগেরবাজার। সেখান থেকে তারা অ্য়াপ ক্যাব বুক করে। পরিকল্পনা ছিল, কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়েতে নির্জন জায়গায় ফেলে দেওয়া হবে দেহ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থল থেকই গ্রেপ্তার হয় করণ। পালানোর চেষ্টা করলেও কয়েকঘণ্টার মধ্যেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশান ট্র্যাক করে কৃষ্ণপালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃতরা জানিয়েছে টাকা নিয়ে অশান্তির কারণেই এই খুন। তবে নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.