ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: কমিউনিটি কিচেনে রান্না করা খাবারের গুণগত মান প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং খাদ্যমন্ত্রীর নামে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে ধৃত হাবড়ার এক বধূ। মঙ্গলবার রাতে দুই মহিলার বিরুদ্ধে হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পম্পা সাধুখাঁ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সকলের সামনে ক্ষমা চেয়েছেন ধৃতের মা। অপরজনের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
লকডাউনের একমাস পেরিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই টানা লকডাউনে চরম সমস্যায় দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলি। এই পরিস্থিতিতে দুস্থ মানুষদের খাদ্য সংকটের কথা চিন্তা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সেখানে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এলাকার দুস্থ মানুষদের কাছে। মঙ্গলবার দুপুরেও তৃণমূল কর্মীরা কমিউনিটি কিচেনে রান্না করা খাবার হাবড়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এদিন হাবড়া পুরসভার কৈপুকুরের বাসিন্দা পম্পা সাধুখাঁও সেই খাবার নিয়েছিলেন। এরপরই খাবারের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ তোলেন ওই বধূ। খাবারের ছবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্য করে তা হোয়াটসঅ্যাপে দিদিকে পাঠান তিনি। এরপর ধৃতের দিদি তা ফেসবুকে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হাবড়ার তৃণমূল সভাপতি সিতাংশু দাস মঙ্গলবার রাতে পম্পা এবং তাঁর দিদি চন্দনার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে হাবড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিলিমেশ দাস বলেন, “প্রায় হাজার কুড়ি মানুষ গত তিনদিনে রান্না করা খাবার খেয়েছেন। বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উদ্যোগে ৩০ হাজার মানুষ ত্রাণ পেয়েছেন। কারও কোনও সমস্যা হয়নি। শুধুমাত্র পম্পা সাধুখাঁর খাবারে নাকি মশা পড়েছিল! খাবার পালটে দেওয়ার পরেও না কি সেই খাবারে মশা মিলেছে। আসলে ঐ মহিলাকে যা খাবারই দিই না কেন, তাতে মশা পরবেই। এমনই তাঁর মানসিকতা।” নিলিমেশবাবুর অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনেই হাত রয়েছে বিজেপির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.