সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মারণ ভাইরাসের থাবা অধিকাংশকে সচেতন হতে শেখালেও এখনও অনেকেই ছুটির মেজাজে ঘুরছেন রাস্তায়। সকাল-বিকেল ঢুঁ মারছেন চায়ের দোকানে। এই সমস্ত মানুষদের শিক্ষা দিতে দুর্গাপুরের রাস্তায় হাজির মারণ ভাইরাস করোনা, সঙ্গী যমরাজ!
ভাবছেন নিশ্চয়ই বিষয়টা কী? পুলিশ-প্রশাসন সাধারণ মানুষকে বোঝানোর পরও যখন অনেকেই পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে নারাজ তখনই অন্য ফন্দি আঁটেন দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর বোরো কমিটির চেয়ারম্যান। তাঁর পাশে দাঁড়ায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দু’তরফের উদ্যোগে দুটি নাট্যকর্মী পরিণত হন যমরাজ ও করোনা ভাইরাসে। এরপরই তাঁরা বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। দুর্গাপুর স্টেশন বাজার-সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকা ঘোরেন তাঁরা। যমরাজ কখনও বেপরোয়া জনতাকে ভয় দেখাতে বলেন, “আমি যম। এভাবে ঘুরলে অকালে আমার কাছে চলে আসতে হবে।” কখনও আবার হুমকির সুরে করোনা ভাইরাস বলেন, “কাউকে ছাড়ব না। স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহার না করলে এবং অকারণে রাস্তায় ঘুরলে মেরে ফেলব সবাইকে।”
এই সংকটকালে এলাকাবাসীদের ঘরে রাখতে বোরো চেয়ারম্যানের এই উদ্যোগ সকলেরই নজর কেড়েছে। অনেকেই চোখের সামনে করোনা ভাইরাসের হুমকিতে কিছুটা হলেও সচেতন হয়েছে। এবিষয়ে বোরো চেয়ারম্যান বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের তা বারবার সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই এখনও উদাসীন। তাই তাঁদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ। আশা করি মানুষ এতে সচেতন হবেন।”
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.