সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ‘হামকো ছোটা মাছ, পাবদা, ইলিশ, রুই বহুত পসন্দ হ্যায়। হাম মিথিলাকা আদমি মাছ-ভাত খাতা হ্যায়। মুড়িঘণ্ট ভি খাতা হ্যায়।’ প্রচারের প্রথম দিনেই মাছেভাতে (Fish) বাঙালির সঙ্গে নিজের খাদ্যাভ্যাসের মিলটা কার্যত বুঝিয়ে দিলেন দ্বারভাঙার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। সোমবার, প্রথম দিন প্রচারে নেমে বর্ধমানে রাধারানি স্টেডিয়ামে উঠতি খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরামর্শ দেন, কোল্ড ড্রিঙ্কস, হ্যামবার্গার, পিজ্জা না খাওয়ার। খেলার পরে চিনি, লেবুর শরবৎ, জুস খাওয়ার টিপস দিলেন ১৯৮৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী (Cricket World Cup) ভারতীয় দলের সদস্য কীর্তি আজাদ।
পাশাপাশি নিজের পছন্দের খাবারের কথাও জানাতে ভোলেননি কীর্তি। জানান, চুনো মাছ, রুই, পাবদা, ইলিশের ভক্ত তিনি। পছন্দ করেন মুড়িঘণ্টও। বাঙালির মতো মাছ-ভাত মিথিলাবাসীদেরও খুব পছন্দের বলেও জানান তৃণমূল (TMC) প্রার্থী। ইতিমধ্যেই ‘বহিরাগত’ সমালোচনা শুরু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তা ঘোচাতে শুরুতেই মাছভাত প্রেমের কথা বললেন কীর্তি। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, এর আগে বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল বাঙালির মাছভাত প্রেম নিয়ে কটাক্ষ করে তোপের মুখে পড়েছিলেন। নিজের মাছভাত প্রেমের কথা বলে তাঁকেও বার্তা দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর (Bardhaman Durgapur) কেন্দ্রের প্রার্থী।
ক্রিকেট মাঠের মতোই ‘বাপি বাড়ি যা’ স্টাইলে বিরোধীদের ছক্কা হাঁকানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন কীর্তি। উনিশের নির্বাচনে বিজেপির দখলে গিয়েছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর (Bardhaman Durgapur) কেন্দ্রটি। সেখানে কীর্তি আজাদ কতটা সফল হবেন? এই প্রশ্নে স্টেডিয়াম পার করা ছক্কা হাঁকানোর ঢঙে বলেন, ‘‘সব কিছু পার্মানেন্ট না কি? ৩৪ বছর ধরে এখানে সিপিএম ছিল না। দিদি এসে এমন করলেন যে সব গায়েব হয়ে গিয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে মোদি-অমিত শাহ এখানে বলেছিল না দুশো পার হয়ে যাবে। একশো পার করতে পারেনি। ‘দিদি ও দিদি’ বলেছিল। দুর্ঘটনায় দিদির পায়ে লেগেছিল। বসে বসেই দিদি ফুটবলে লাথি মেরে বলেছিলেন না – খেলা হবে! ব্যস, খেলা হয়ে গিয়েছে।’’ এরপরই তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মা’ ও ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ বলে উল্লেখ করেন।
ভোটে জয়ী হলে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য কী কাজ করবেন? এই প্রশ্নের জবাবে কীর্তি বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনে জেলা থেকে গ্রাম স্তর পর্যন্ত নেতৃত্ব রয়েছেন। সর্বোপরি তৃণমূল স্তরের কর্মীরা রয়েছেন। তাঁরই আমাদের ভিত্তি। সেখান থেকে নেতৃত্ব উঠে আসেন। সংগঠনই আমাদের সব কিছু। এই সংগঠনের ‘মা’, ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংগঠন যা বলবে তাই করব। গাধার মতো খাটতে বললে খাটব, ঘোড়ার মতো দৌড়তে বলবে দৌড়ব। সংসদে এখানকার মানুষের জন্য আওয়াজ তুলব।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.