ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন বুব়্যো: নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের ডাকা ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নেওয়া হাজার হাজার মানুষের মধ্যে ২৪ জন দিল্লিবাসীর দেহে নোভেল করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। ওই সমাবেশে শামিল হয়েছিলেন এ রাজ্যেরও বহু মানুষও। সমাবেশ থেকে ফিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছেন তাঁরা। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছেই। সেই কারণেই কারা ওই সমাবেশে ছিলেন তাঁদের খোঁজ নেওয়া শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে ২১৮ জনকে নিউটাউনের হজ টাওয়ারে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
নিউটাউনের হজ টাওয়ারকে সম্প্রতি কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ২১৮ জনকে নিউটাউনের ওই হজ টাওয়ারে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছে ভাটপাড়ার পাঁচটি দম্পতি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে উদ্ধার হওয়া ভিন দেশ ও ভিনরাজ্যের ৩০ জন এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, দক্ষিণ দিনাজপুর ও খড়গপুর কলকাতা, পার্ক সার্কাসের বেশ কয়েকজনও রয়েছেন। হজ কমিটির সদস্য তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ বলেন, “স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী, তাঁদের প্রত্যেককে ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে হজ টাওয়ারে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করছেন। প্রত্যেকের থাকার জন্য সুবন্দোবস্ত রয়েছে। প্রায় ৪০০ জন থাকতে পারবেন হজ টাওয়ারে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরা প্রত্যেকেই সাম্প্রতিক অতীতে নিজামুদ্দিনে গিয়েছিলেন, তাই তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে অবজারভেশনে রাখা হচ্ছে। যেহেতু নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন এমন বহু মানুষের করোনা আক্রান্ত, তাই বাকিদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এখনও পর্যন্ত তাদের মধ্যে ২৪ জন দিল্লিবাসীর পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। ৪৪১ সন্দেহভাজন হিসাবে হাসপাতালে আইনসোলেশনে ভরতি। সেখান বিদেশ থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। তাই নিজামুদ্দিনের ওই সমাবেশ দেশের করোনা মহামারির এপিসেন্টার হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন চিকিৎসকরা। সে কারণেই প্রত্যেককে চিহ্নিত করে আইনসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.