সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া করোনা পরিসংখ্যান চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল বাঙালির কপালে। শুক্রবার সেই সংখ্যাটা তুলনামূলক কম। বরং করোনা মুক্ত হয়ে ওঠার সংখ্যাটা খানিকটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরে তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৭ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা ছিল ৩৪৪। এদিন তুলনামূলক কম। সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৮১৩। যার মধ্যে অ্যাকটিভ কেস ২,৭৩৬। এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি আরও ৭ জন। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৩০ জন। করোনা আক্রান্ত তবে কো-মর্বিডিটির কারণে মৃত্যু হয়েছে আরও ৭২ জনের। অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে এমন ৩০২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে এসবের মধ্যে খানিকটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ১৭৭৫। শুক্রবার পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১,৮৫,০৫১ জনের। গতকালের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও সাময়িক বেড়েছ। একদিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯,২৮২ জনের।
উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন থেকে রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই তিনি জানান, আগামী মাসের পয়লা তারিখ থেকে ধর্মীয় স্থান, কর্মক্ষেত্র খুলে দেওয়া হবে। ৮ জুন থেকে আবার সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজও করতে পারবে। কিন্তু একই সঙ্গে হটস্পট এলাকা থেকে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা। তাঁর দাবি, যে রাজ্যে সংক্রমণের হার বেশি, সেখান থেকে শ্রমিকরা ফেরায় এ রাজ্যে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই প্রশ্ন উঠছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার পর থেকে সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়া সত্ত্বেও কেন আগামী মাস থেকে একাধিক ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী? এই শিথিলতাই কাল হয়ে দাঁড়াবে না তো?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.