শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’! মদ পাচার রুখতে নাকাতল্লাশি চলাকালীন বাংলা-বিহার সীমান্ত থেকে পুলিশ এবং আবগারি বিভাগের হাতে এল প্রায় ২২ কেজি বিদেশি সোনার বিস্কুট। কোমরের বিশেষ বেল্টে ওই বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের ছক কষা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য প্রায় ১১ কোটি টাকা। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে দুই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা-সহ তিনজন।
সোমবার সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরজুড়ে শোরগোল পরে যায়। ওই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধারে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ, আবগারি থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির। ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আধিকারিকরা। যদিও এদিন রাত পর্যন্ত ওই অভিযানের বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি পুলিশ এবং আবগারি বিভাগের আধিকারিকরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একটি চারচাকা গাড়ি করে ওই সোনা মহারাষ্ট্রে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় আবগারি বিভাগ এবং খড়িবাড়ি থানার পুলিশ যৌথভাবে নাকাতল্লাশি চালায়। তখনই পাচারকারীদের পাকড়াও করে। ধৃতরা হল শশিকান্ত জালিন্দর সাঙ্কে পাল, অনিল লক্ষ্মণ গুমাদে এবং মহম্মদ আরফাজ। ধৃতদের মধ্যে শশিকান্ত এবং অনিল মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। আর মহম্মদ আরফাজ শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার বাসিন্দা। সেই ওই গাড়ির চালক ছিল বলে জানা গিয়েছে। বাকি দু’জন দুটো করে মোট চারটি সোনা লুকিয়ে রাখার জন্য তৈরি বিশেষ চেম্বার করা বেল্ট পরেছিল। একটি বেল্টে ৩০টি করে সোনার বিস্কুট এবং দুজনের পকেটে পাঁচটি করে সোনার বিস্কুট ছিল।
জানা গিয়েছে, ধৃতদের মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হবে। দার্জিলিং জেলা পুলিশের এসপি সন্তোষ নিম্বালকর বলেন, “নাকাতল্লাশি চলাকালীন বাংলা-বিহার সীমান্ত থেকে ওই সোনা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তদন্ত চলছে।” পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গুয়াহাটি থেকে সোনা বাসে করে শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসে দুই পাচারকারী শশিকান্ত এবং অনিল। সেখান থেকেই বিহারের অরঅরিয়া পর্যন্ত যেতে মহম্মদ আরফাজের গাড়ি পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া করে। অরঅরিয়াতে ফের গাড়ি বদলে ছাপড়া যেতো তারা। ফের সেখান থেকে গাড়ি বদলে পৌঁছত মহারাষ্ট্রে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.