শান্তনু কর ও শুভদীপ রায় নন্দী: দিন দশেক আগে গন্ডার মেরে খড়গ নিয়ে চম্পট দিয়েছিল চোরাশিকারিরা। রবিবার ভোরে জলপাইগুড়ির গরুমারা অভয়ারণ্য লাগোয়া নাগরাকাটা থেকে বন্যপশুর দেহাংশ-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করল বনদপ্তর। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতেরা সকলেই ভুটানের নাগরিক। তাদের কাছে গন্ডারের খড়গ ও হাতির দাঁত পাওয়া গিয়েছে। এদিকে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায় বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল একটি পূর্ণবয়ষ্ক চিতাবাঘ।
[ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জোড়া শুটআউট, গুলিবিদ্ধ প্রমোটার ও ব্যবসায়ী]
বনদপ্তর সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে ভুটান থেকে গাড়ি করে হাতির দাঁত ও গন্ডারের খড়গ নেপালে পাচারের চেষ্টা করছিল তিনজন। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে জলপাইগুড়ির গরুমারা অভয়ারণ্য লাগোয়া নাগরাকাটার শুল্কাপাড়ায় অভিযান চালায় বনদপ্তরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। বমাল ধরা পড়ে যায় তিনজনই। ভুটানের ওই তিনজন নাগরিকের একজন আবার স্কুলশিক্ষক। ধৃতদের পাঁচদিন বনদপ্তরের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বড়দিনের সকালে টহল দেওয়ার সময়ে একটি গন্ডারের মৃতদেহ নজরে পড়েছিল বনরক্ষীদের। কিন্তু, মৃত গন্ডারটির শরীরে খড়গ ছিল না। তাহলে কি সেই খড়গটিই নেপালের পাচার করা হচ্ছিল? ধৃতদের দাবি, গন্ডারের খড়গ ও হাতির দাঁত ডুয়ার্স কিংবা গরুমারা জঙ্গলের নয়। অসম থেকে চোরাপথে বন্যপশুর দেহাংশ এসেছে। পঞ্চাশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সেগুলি নেপালের কাঠমান্ডুতে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বনদপ্তরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
এদিকে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফাঁসিদেওয়ায় বনদপ্তরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল একটি পূর্ণ বয়ষ্ক চিতাবাঘ। জানা গিয়েছে, কয়েক দিন ধরেই ফাঁসিদেওয়া ব্লকের জ্বালাস নিজাম তারা গ্রাম পঞ্চায়েতে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছিল চিতাবাঘ। বনদপ্তরে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চিতাবাঘটিকে ধরতে জাল পেতেছিলেন বনদপ্তরের কর্মীরা। শেষপর্যন্ত রবিবার ভোরে ভেলকো জতে গ্রামে জালে ধরা পড়ে চিতাবাঘটি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.