নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে শনিবার অনাস্থা আনল আরও ৩ জন কাউন্সিলর। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, উপপুরপ্রধান কৃষ্ণা রায়, কাউন্সিলর টুম্পা রায়, কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বিকাশ বৈরাগী। পুরপ্রধানের কারণেই নির্বাচনে ভরাডুবি, অভিযোগ ক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের।
এ প্রসঙ্গে উপপুরপ্রধান কৃষ্ণা দেবীর অভিযোগ, “এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন সত্ত্বেও লোকসভায় বিপর্যয়ের কারণ পুরপ্রধানের ভাবমূর্তি।” জানা গিয়েছে, অনাস্থার খবর চাউর হতেই শনিবার দুপুরে সস্ত্রীক উপপুরপ্রধানের বাড়িতে যান পুরপ্রধান শংকর আঢ্য। কৃষ্ণা রায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে শংকরবাবু জানান, “কৃষ্ণা দেবীর স্বামী অসুস্থ, তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।” কাউন্সিলরদের অনাস্থা প্রসঙ্গে শংকর বাবুর মন্তব্য, “বনগাঁর উন্নয়নে সবাই মিলে কাজ করেছি। ব্যক্তিগতভাবে কে কী করছে জানি না। দলের সিদ্ধান্তেই সব কিছু হবে। অনাস্থার বিষয়ে দলই সব কিছু বলবে।” বনগাঁ পুরসভায় ২২টি ওয়ার্ড রয়েছে। তবে লোকসভায় প্রায় কুড়ি হাজার ভোটে পর এলাকায় পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূলই!
কাউন্সিলরদের অভিযোগ, “পুরপ্রধান অনৈতিক কাজকর্ম করেছে। তাঁর স্বৈরাচারী মনোভাব এবং স্বজনপোষণই লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভরাডুবির একমাত্র কারণ।” কাউন্সিলর অভিজিৎ কাপুরিয়া, মনোতোষ নাথ, সুমঞ্জনা মুন্সি জানান, “ভোটের ফল বেরোনোর পর বনগাঁর মানুষের সঙ্গে আমরা কথা বলে জানতে পেরেছি, পুরপ্রধানের ক্রিয়াকলাপে এলাকার সকলেই ক্ষুব্ধ। সে কারণেই ভোটে আমাদের এভাবে হার হয়েছে।” পুরপ্রধানের আচরণের কথা ফিরহাদ হাকিমকে জানানো হয়েছে বলে জানান তাঁরা। এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন, “চাপের মুখে কাউন্সিলররা আদৌ রুখে দাঁড়াতে পারবেন তো? সেই প্রশ্ন নিয়ে এখন ভোটাভুটির দিকেই তাকিয়ে গোটা বনগাঁর মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.