Advertisement
Advertisement
Nadia

যুদ্ধ হলে রক্ত লাগবে, পহেলগাঁও আবহে নদিয়ায় রক্তদান ‘উৎসবে’ শামিল ৪৬ জওয়ান

জওয়ানদের ভূমিকায় খুশি এলাকার সাধারণ মানুষজন।

46 jawans donate blood at blood donation festival in Nadia

রক্ত দিচ্ছেন জওয়ানরা। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:May 2, 2025 9:12 pm
  • Updated:May 2, 2025 9:12 pm  

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গিহানায় ২৬ জন পর্যটক মারা গিয়েছেন। সেই ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা বাড়ছে সীমান্ত এলাকায়। প্রত্যাঘাতের কথাও জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কি যুদ্ধ হবে? সেই প্রশ্নও উঠছে এই আবহে। যুদ্ধ বাঁধলে রক্তের প্রয়োজন হবে। সেজন্য এদিন রক্তদান করলেন বিএসএফ জওয়ানরা। নদিয়ার গেদে সীমান্ত এলাকায় আজ শুক্রবার এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানেই ৪৬ জন জওয়ান রক্তদান করলেন।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গিহানায় মারা গিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। তাঁদের মধ্যে বাংলার তিনজনও ছিলেন। এছাড়াও কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন নদিয়ায় তেহট্টের বাসিন্দা ঝন্টু আলি শেখ। পাকিস্তানের সেনাদের হাতে বন্দি আছেন হুগলির বাসিন্দা আরও এক সেনা জওয়ান। তাঁকে ছাড়ার বিষয়ে এখনও কোনও বার্তা পাকিস্তান থেকে দেওয়া হয়নি। এই আবহে সীমান্তে উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। যুদ্ধ হলে জওয়ানরা জখম হবেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য নতুন সেই সময় প্রচুর রক্ত লাগবে। সেজন্য গ্রীষ্মকালেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হল।

Advertisement

এদিন নদিয়ার গেদে সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিশেষ রক্তদান উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেই রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন জওয়ানরাও। এদিন ৪৬ জওয়ান ওই শিবিরে রক্ত দিলেন। এছাড়াও এলাকার বহু সাধারণ মানুষ রক্তদানে সামিল হয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক আশিসকুমার বিশ্বাস। যদি যুদ্ধ শুরু হয়, দেশের একাধিক সৈনিক আহত হলে, তাদের জন্য বিপুল পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন পড়বে। সেজন্যই এদিনের এই মহতী উৎসব বলেও তিনি জানান। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা এদিন রক্ত দেওয়ায় এক দৃষ্টান্ত তৈরি হল। সেই কথাও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সকলেই জওয়ানদের কুর্নিশ জানিয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement