ছবি: প্রতীকী
অরিজিৎ গুপ্ত: লিলুয়া রেল ব্রিজে যুবক খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত সুভাষ সিংকে আসানসোল থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুভাষের আরও চার সাগরেদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী কারণে খুন, পুরনো কোনও শক্রুতা ছিল কিনা, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। গত সপ্তাহে লিলুয়া রেল কলোনি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন কয়েকজন যুবক। কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেই সময় রাস্তায় জল জমে ছিল। সেই সময়ে চন্দন সিং বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় চাকায় জল ছিটে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকদের গায়ে লাগে। এই নিয়ে বাইক চালকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকরা। তারা দাবি করে, ওই বাইক চালক ইচ্ছে করেই জল ছিটিয়েছে তাদের গায়ে। শুরু হয় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়। সেই সময় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। হাতাহাতির জেরে মাথা ফাটে এক যুবকের। বিষয়টি জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরও করা হয়।
সেই দিনের ঘটনা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বুধবার লিলুয়া ব্রিজে একটি মিটিং ডাকা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে হাজির হয় দু’পক্ষই। অভিযোগ, সেখানেই যেতেই বাইক চালক চন্দন সিংকে মারধর শুরু করে কয়েকজন যুবক। মারধর করা হয় চন্দনের সঙ্গীদেরও। এরপরই প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় চন্দনকে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁকে হাওড়ার জয়সওয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমেই সাফল্য পেল পুলিশ। বুধবার গভীর রাতেই আসানসোল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চন্দন খুনে জড়িত ৫ জনকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.