প্রতীকী ছবি
অর্ণব দাস, বারাসত: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফের বাংলার শ্রমিকের (Bengal Labourer) মৃত্যু। এবার কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ৫ যুবকের। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও চার। তাঁরা এ রাজ্যের বাসিন্দা কি না তা নিশ্চিত নয়। রবিবার রাতে তাঁদের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছেছে পরিবারের কাছে। পরিবারের দাবি, ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে ওই ৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য। এদিকে এদিন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম জানান, যাদের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। এ নিয়ে কর্ণাটকের মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলবেন বাংলার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
মৃতদের মধ্যে ওমর ফারুক (৩১), সামিউল ইসলাম (১৭) নুর নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাজিলপুরের বাসিন্দা। মৃত আরেক যুবক নিজামুদ্দিন সাহাজি। তিনি আমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুরের বাসিন্দা। দেগঙ্গা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দোগাছিয়ার বাসিন্দা সরাফাতা আলি ও মিরাজুল ইসলামেরও মৃত্যু হয়েছে কর্ণাটকে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ মাস আগে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুর দক্ষিণ কান্নাড়া জেলায় দিনমজুরের কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই পাঁচ যুবক। রবিবার রাতে ওই পাঁচ যুবকের পরিবারের কাছে খবর আসে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানকার একটি ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমেছিলেন তাঁরা। সেই সময় ভিতরে গ্যাস জ্বলে উঠে বিস্ফোরণ ঘটে। জানা গিয়েছে, প্রথম বন্ধু নিচে নামার পরে অনেকটা সময় কেটে যায়। তিনি উঠে না আসায় বাকিরাও একে একে নিচে নেমে যায়। বিষাক্ত গ্যাসে তাদেরও মৃত্যু হয়।
খবর আসার পরই শোকের ছায়া দেগঙ্গায়। পরিবারের তরতাজা সদস্যদের হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ। মৃত্যুর খবর পেয়ে রবিবার রাতেই কর্ণাটকে গিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে অশোকনগরের তিন যুবক ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিল নদিয়ার এক যুবকের নামও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.