আটক হওয়া যুবকরা।
অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: বাংলাদেশি সন্দেহে উত্তরপ্রদেশে আটক হয়েছিলেন বাংলার পাঁচ শ্রমিক। তাঁদের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। ঘটনা জানতেই আসরে নেমেছিল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা চলে। ওই পাঁচজনের প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হয়। অবশেষে মুক্তি। মুর্শিদাবাদ পুলিশের সহায়তায় ওই পাঁচ যুবক নিজেদের বাড়ি ফিরছেন। ঘটনায় স্বস্তি পেয়েছেন ওই পাঁচজনের পরিবারের সদস্যরা।
ওই পাঁচজনের মধ্যে নূর ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ইসলামপুরের আজমতপুরের বাসিন্দা। গোলাম রসুল, রাইহান শেখ ও সোহেল রানার বাড়ি ভগবানগোলা থানা এলাকায়। শনিবার মুর্শিদাবাদ বহরমপুর পুলিশ জেলার পুলিশ ইসলামপুর ও ভগবানগোলা থানার পুলিশ সূত্রে জানতে পারে, বাংলার ওই পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক সুদূর উত্তরপ্রদেশে আটক হয়েছেন। মথুরার গোবিন্দনগর থানায় তাঁদের রাখা হয়েছে। বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের পাকড়াও করা হয়েছে। পুলিশের কাছে শ্রমিকরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কিন্তু তাঁদের কোনও কথা কানে তোলা হয়নি বলে অভিযোগ। ওই থানা থেকেই শ্রমিকরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
বাড়ির লোকেরা আর কালবিলম্ব না করে নিজ নিজ এলাকার থানায় যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে ইসলামপুর থানার ওসি নির্মল দাস ও ভগবানগোলার ওসি বিশ্বজিৎ হালদার দ্রুত বিষয়টি বহরমপুর মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জানা গিয়েছে, দ্রুত মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ মথুরা থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে প্রমাণ দিয়ে বোঝানো হয় মথুরার গোবিন্দনগর থানায় আটকরা আসলে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা, তাঁরা বাংলাদেশি নন। আটক শ্রমিক নূর ইসলামের বাবা রোজাউল করিম মিঞা বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে বোঝানোর পর, শনিবার গভীর রাতে ওই পাঁচজন শ্রমিককে ছেড়ে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।” জানা গিয়েছে, শনিবার ওই পাঁচজন একটি গাছতলায় বসে বিশ্রাম করছিলেন। নিজেদের মধ্যে বাংলায় কথা বলছিলেন। সেসময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁদের ধরে। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভিন রাজ্যে এই ধরনের যে কোনও সমস্যায় পড়লে, তাঁরা যেন নিজ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ তাঁদের সাহায্য করতে প্রস্তুত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.