সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনকয়েকের হাজারও প্রস্তুতি। সপ্তাহখানেক নানা রীতিনীতি পালন করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভক্ষণে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘার জগন্নাথদেবকে এদিন ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয়। কী কী নিবেদন করা হয়, একনজরে দেখে নিন সেই তালিকা।
অন্ন
ঘি ভাত
সুগন্ধী ভাত
পান্তা ভাত
নারকেলের দুধ দিয়ে মাখা ভাত
দুধভাত
দহি পাখাল
শুকনো খিচুড়ি
ডাল
করলা ভাজা
শাক ভাজা
লাবড়া
বেসর
লঙ্কার বড়া
নিমকি
আদার চাটনি
মিষ্টি চাটনি
নারকেল নাড়ু
সুজি
দই
বোঁদে
পুলি পিঠে
পিঠে
ছোট পিঠে
বিড়ি পিঠে
পদ্ম পিঠে
ক্ষীরের মিষ্টি
ভাত দিয়ে তৈরি মিষ্টি
প্যান কেক
নারকেল কেক
রাইস কেক
বড় কেক
কেক
সাকারা
মেন্ধা মুন্ডিয়া
কাদামবা
পাত মনোহর মিষ্টি
তাকুয়া মিষ্টি ভাগ পিঠে
কাকারা মিষ্টি
লুনি খুরুমা
মিষ্টি লুচি
চাড়াই নাড়া মিষ্টি
খাস্তা পুরি
কাদালি বারা
কানজি
বড় আরিশা
ত্রিপুরি
মুগা সিজা
মনোহরা মিষ্টি
মাগাজা লাড্ডু
খোয়া ক্ষীর
মিষ্টি
পানা
মুড়ি
দলমা
টুকরো করা কলা
উল্লেখ্য, দিঘার জগন্নাথ মন্দির রাজস্থানের গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে তৈরি। অন্তত ৮০০ কারিগর দিঘায় আসেন মন্দির নির্মাণের কাজে। তাঁরা সকলেই রাজস্থানের বাসিন্দা। মন্দিরের প্রধান দ্বার দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেই প্রথমে পড়বে তিনটি দীপস্তম্ভ। পুরীর মতো দিঘার মূল মন্দিরে প্রবেশের জন্য রয়েছে চারটি দ্বার। একইভাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদ্বার বা মন্দিরের প্রবেশদ্বারের সামনে রয়েছে কালো রঙের অরুণ স্তম্ভ। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রবেশ দ্বারের সামনে কালো পাথরে তৈরি ৩৪ ফুট লম্বা ১৮ মুখী অরুণ স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। আর এই স্তম্ভের মাথায় রয়েছে অরুণা মূর্তি।
অরুণ স্তম্ভের সামনের সিংহদ্বারে ঢুকলেই পুরীর মতোই সোজাসুজি জগন্নাথের মূর্তি। পূর্ব দিকের মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার বা সিংহদ্বারের বিপরীতে ব্যাঘ্রদ্বার। উত্তরে হস্তিদ্বার আর দক্ষিণে অশ্বদ্বার। দিঘার মন্দিরের প্রথমে রয়েছে ভোগ মণ্ডপ। ভোগ মণ্ডপের চারটি দরজা। তারপরে রয়েছে ১৬টি স্তম্ভের উপরে নাটমন্দির। নাটমন্দিরের পরে চারটি স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে জগমোহন। জগমোহনের পরে গর্ভগৃহ বা মূল মন্দির। সেখানে সিংহাসনে থাকবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি। ভোগ মণ্ডপ ও নাটমন্দিরের মাঝে রয়েছে গরুড় স্তম্ভ। নাটমন্দিরের দেওয়ালে কালো পাথরে তৈরি ছোট ছোট দশাবতার মূর্তি। মন্দিরের পাথরের দেওয়ালেও রয়েছে অসংখ্য কারুকার্য। জগন্নাথের ভোগ রান্নার জন্য রয়েছে আলাদা ভোগশালা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.