দেব গোস্বামী, বোলপুর: শান্তিনিকেতনের তৃণমূল নেতা খুনে মোটের উপর স্পষ্ট পরকীয়ার তত্ত্ব। বেশ কিছুদিন আগে এলাকার এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মৃত সমীর থান্ডার। তাঁদের দুজনকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন মহিলার স্বামী। অনুমান, সেই কারণেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ইতিমধ্যেই মৃতের প্রেমিকা, তাঁর স্বামী-সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনের কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মৃত সদস্য সমীর থান্ডারের জীবন ছিল বেশ রঙিন। তাঁর তিন স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর হদিশ নেই। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রী পাশাপাশিই থাকেন। সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে সম্পর্কও খুব একটা খারাপ নয়। দুই স্ত্রীর ঘরেই সন্তান রয়েছে। তবে শুধু একাধিক বিবাহই নয়, একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কও ছিল সমীরবাবু। সূত্রের খবর, সবিতা বিশ্বাস নামে এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন প্রেমিকার স্বামী। এর পরই তাঁকে খুনের ছক কষে। বেধড়ক মারধর করা হয়। তার জেরেই মৃত্যু হয় সমীরের। তবে নেপথ্যে পরকীয়া ছাড়া অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবার গভীর রাতে বোলপুর সংলগ্ন উত্তর নারায়ণপুরের মাঠ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। প্রথমে তাঁকে বোলপুর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.