প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: স্বস্তির বৃষ্টিতেও বিপত্তি! একাধিক জেলা থেকে মিলেছে মৃত্যুর খবর। কোথাও বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে তো কোথাও দেওয়াল ধসে প্রাণ গিয়েছে আমজনতার। খাস কলকাতায় গাছ ভেঙে পড়েও বিপত্তি বেঁধেছে। আবার ঝড়বৃষ্টির জেরে শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায় বন্ধ ট্রেন চলাচল।
একটানা দাবদাহের পর সোমবার বিকেলে কালবৈশাখীর দেখা মেলে। আর কালবৈশাখীর প্রথম ধাক্কাতেই কাটোয়া ও কেতুগ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় দুজনের। জখম একজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার কামাল গ্রামের বাগদিপাড়ার বাসিন্দা উন্নতি মাঝি (৪৯) নামে এক বধূ ভেড়া চড়িয়ে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে আহত হন। তাঁকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কেতুগ্রামের খাটুন্দি গ্রামে বিশ্বনাথ থান্দার (৬৮) নামে এক ব্যক্তি বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন। তিনি মাঠ থেকে গরু চড়িয়ে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। কেতুগ্রামের পালিটা গ্রামে সুষ্মিতা সোরেন (১৪) এক কিশোরী বজ্রপাতে জখম হয়।
অন্যদিকে, পুরুলিয়ায় বাজ পড়ে ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, অন্যান্য জেলায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন ট্রাক্টর চালক প্রিয়রঞ্জন মাহাতো ( ৩০) এবং
রাহুল কুমার (২১)। ২ জন জখম হয়েছেন। এরা সবাই মিলে এদিন পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন।
নদিয়াতেও ইটভাটায় দেওয়াল চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। ঝোড়ো হাওয়ায় নাকাশিপাড়া থানার বড়গাছির একটি ইটভাটায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শ্রমিকের। মৃতরা হল যোগেশ্বর হেমব্রম (২৮) ও তালাকুড়ি হেমব্রম (২৫)। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। এদিকে নরেন্দ্রপুর স্টেশনের কাছে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরই। তার পরই শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় আপ-ডাউন কোনও পথেই ট্রেন চলছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.