টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: সিনেমার পর্দায় চোখ রাখেনি জ্যোতিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মেধাতালিকায় ৬৯০ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র জ্যোতিপ্রসাদ। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার দু’দিন আগেও টিভির পর্দায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবল খেলা দেখেছে। জ্যোতিপ্রসাদের বাবা এলআইসি এজেন্ট হরপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মেধাতালিকায় ষষ্ঠ জ্যোতিপ্রসাদ বলছে, “ক্রিকেট নয়, ফুটবলই আমার পছন্দের খেলা। প্রিয় ফুটবলার মেসি। ফুটবল আমাকে জীবনের শিক্ষা দেয়।
শুধু জ্যোতিপ্রসাদই নয়, এবছর মাধ্যমিকে প্রথম দশে বাঁকুড়ার ১১ জন কৃতী জ্বলজ্বল করছে। এই কৃতী ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। ৬৮৯ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় সপ্তম স্থানে বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের অরিত্র দে। বাঁকুড়া শহরের পাঁচবাগায় একটি বহুতল আবাসনের বাসিন্দা অরিত্র ভাল ক্রিকেট খেলে। প্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। বিরাটের আগ্রাসী ব্যাটিং ওকে মুগ্ধ করে। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার লক্ষ্যে সেও বিরাটের মতোই আগ্রাসী। অরিত্রের বক্তব্য, “বিশ্বের বিখ্যাত প্রকৌশলী এলন মাস্ক, ফজলুর রহমান খান এবং নিকোলা টেসলার মতো প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতে চাই।” ছেলের এহেন সাফল্যে খুশি পেশায় শিক্ষিকা মা সুস্মিতা দে। অরিত্রর বাবা কৃষ্ণেন্দু দে সরকারি আধিকারিক।
৬৮৮ নম্বর পেয়েছে বাঁকুড়া বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতনেরই আরেক ছাত্র শুভ্রসিনহা মহাপাত্র। ভবিষ্যতে পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করতে চায় বাঁকুড়ার এই মেধাবী। প্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং। শুভ্রর কথায়, “অরিজিৎ সিং এর গান শুনলে একাগ্রতা বাড়ে।” ওষুধ ব্যবসায়ী বাবা মানস কুমার সিনহা মহাপাত্র। ছেলের পড়াশুনোর জন্য বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহিতে ভাড়াবাড়িতে থাকেন। মা বনশ্রী সিনহা মহাপাত্র। এই স্কুলেরই দুই ছাত্র তুহিন হালদার আর প্রিয়ম পাল ৬৮৬ নম্বর পেয়ে যুগ্ম দশম স্থান অধিকার করেছে। তুহিন সারেঙ্গার রামকৃষ্ণ পল্লির বাসিন্দা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.