জলের ঘূর্ণিপাকে ট্রলার ডুবি। নিজস্ব চিত্র।
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দিন দুয়েক আগেই মাঝ সমুদ্রে ডুবেছিল ট্রলার। শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ৯ মৎস্যজীবী। রবিবার ৮ মৃতদেহের হদিশ মিলল। মাছের জালে জড়িয়ে রয়েছে দেহগুলি। সেগুলিকে উদ্ধার করে শনাক্তকরণ চলছে।
কাকদ্বীপ ফিশারমেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে টর্নেডোর জেরে জলের ঘূর্ণিপাকে পড়ে এফবি বাবা গোবিন্দ নামে ট্রলারটি উলটে যায়। আশেপাশের ট্রলারগুলির মৎস্যজীবীরা এই ঘটনা দেখতে পান। তাঁরা এসে ৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। তবে ৯ মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। মৎস্যজীবীদের অনুমান ছিল, বাকিরা ওই ট্রলারের কেবিন রুমের মধ্যে আটকে রয়েছেন। তার পর থেকে তল্লাশি চলছে। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী সংগঠন তিনজন ডুবুরিকে শনিবার রাতে কাজে লাগায়।
ভোররাতে ট্রলারটিকে বকখালির কাছাকাছি আনা হয়। জোয়ার আসার পর নামখানার কাছে একটি চরে নোঙর করিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ট্রলারের ভিতর নিখোঁজদের তল্লাশি চালানো হয়। বেলা বাড়তেই ট্রলারটি নামখানার হরিপুর ঘাটে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, দেহগুলি মাছ ধরার জালে জড়িয়ে ছিল। ট্রলারের কেবিন ঘর থেকে জল খালি করে দেহ উদ্ধারের কাজ করা হয়।
দুর্ঘটনা গ্রস্ত ট্রলারের কেবিনের মধ্যে থেকে নিখোঁজ ৯ মৎস্যজীবীর মধ্যে আটজনের দেহ মিলেছে। আরও এক মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ। দেহগুলি উদ্ধারের পর পরিবারগুলিকে খবর দেওয়া হয়েছে। নামখানার হরিপুর ঘাটে শনাক্তকরণের পর মৃতদেহ কাকদ্বীপ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও-সহ পুলিশ আধিকারিকরা। রয়েছেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার এবং জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি শ্রীমন্ত মালি। উপস্থিত আছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা মৎস্য দপ্তরের এডিএফ (মেরিন) সুরজিৎ কুমার বাগও, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টু রাম পাখিরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.