ফাইল ফটো
মণিরুল ইসলাম, হাওড়া: বাবা-মাকে বেহুঁশ করে বাড়ি থেকে শিশুকে চুরির অভিযোগ। কয়েকঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি খাল থেকে ৬ মাসের ওই শিশুপুত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার আমতার বসন্তপুর আলতারা মহিষপাড়া এলাকা। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবিতে শিশুর দেহ কোলে নিয়ে আমতা-হাওড়া রোড অবরোধ করেন তার মা। গ্রামবাসীরাও তাতে শামিল হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
সঞ্জয় মালিক এবং দোলন মালিক নামে ওই দম্পতির একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। মাসছয়েক আগে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন দোলন। শুক্রবার রাতে ছ’মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন ওই দম্পতি। ভোরের দিকে ঘুম ভাঙলে তাঁরা দেখেন, মাঝে শিশুপুত্র নেই। আঁতকে ওঠেন তাঁরা। কান্নাকাটি শুরু করে দেন দম্পতি। প্রতিবেশীরাও জড়ো হয়ে যায়। শুরু হয় একরত্তিকে খোঁজাখুঁজি। ঘণ্টাদুয়েক পর নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে একটি খালে শিশুর দেহ ভাসতে দেখা যায়। দেহ উদ্ধারের পরই নিহত শিশুর মা তার দেহ কোলে তুলে নেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির দাবিতে আমতা-হাওড়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তিনি। গ্রামের প্রায় প্রত্যেকেই অবরোধে শামিল হন।
খবর পেয়ে আমতা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশকর্মীরা। তবে অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে নারাজ অবরোধকারীরা। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপরই অবরোধ উঠে যায়। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাওড়া (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সৌম্য রায় বলেন, “খুনের মামলা শুরু করেছি। ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে কীভাবে মৃত্যু হল শিশুটির।” কে বা কারা শিশু খুনের ঘটনায় জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি। পুরনো কোনও শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণে দুষ্কৃতীরা শিশুকে টার্গেট করল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.