দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা রাখার অপরাধে বিজেপির হুগলি জেলার মণ্ডল সভাপতি-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করল বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ। ধৃতরা সকলেই হুগলির ধনেখালির বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ একটি বন্দুক, গুলি, তীর-ধনুক, তলোয়ার ও বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
ধৃত চার জনের মধ্যে আশিস দাস বিজেপির হুগলির ২৯ জেডপির সভাপতি। বাকি তিন জনই ধনেখালি দশঘরা এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নাকা চেকিংয়ের সময় জামালপুর থানার জামালপুর-জৌগ্রাম রাস্তার উপর মহিষগোড়িয়া এলাকায় একটি গাড়ির গতিবিধি সন্দেহজনক ঠেকে। এরপরই পুলিশ গাড়িটিকে চ্যালেঞ্জ করে। বর্ধমান জেলার পুলিশ আধিকারিক আমিনুল ইসলাম খান জানান, গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বন্দুক, তিন রাউন্ড কার্তুজ, তীর-ধনুক ও চারটে বোমা উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ধৃতরা কী কারণে জড়ো হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় ধৃত বিজেপি নেতা আশিস দাস অবশ্য তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
এদিকে, বিজেপি নেতার গ্রেপ্তারের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হুগলি জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির রাজ্য শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক গণেশ চক্রবর্তী জানান, তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে তাদের দলের যুব লড়াকু নেতাদের মিথ্যে মামলা ফাঁসিয়ে ভোটের বৈতরণী পার করতে চাইছে। তিনি বলেন, “আশিসবাবুর প্রতি মানুষের ভালবাসা, জনপ্রিয়তা তৃণমূলের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হল। এইভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।” হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “যেমন দল তেমন তার দলের নেতা। যে দলের রাজ্য সভাপতি ক্ষমতায় এলে গুলি করে দেওয়ার কথা বলছেন তাদের কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না। তাই রাজ্য সভাপতির কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এখন থেকেই গুলি, বন্দুক জোগাড় করা শুরু করে দিয়েছে। তবে মানুষ এটা মেনে নেবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.