অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: প্রেমের শুরুটা হয়েছিল বছরখানেক আগে দিল্লিতে একটি কলেজে ভরতি হতে গিয়ে। সেখান থেকেই ফোন নম্বর বিনিময়। মনের আলোয় পরস্পরকে দেখেছিলেন। নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনেছিলেন একসঙ্গে। সত্যি হল সেই স্বপ্ন। অবশেষে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দৃষ্টিহীন যুগল। প্রিয়জনদের আশীর্বাদ-ভালবাসায় আপ্লুত নবদম্পতি।
পাত্রের নাম বাপি চক্রবর্তী। ঝাড়খন্ডে সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবসা তাঁর। পাশাপাশি বহুদিন ধরেই গান বাজনার সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে জ্যোৎস্না পড়াশোনা করেন। দিল্লিতে পরিচয়ের পরই প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন যুগল। সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। বিধাননগরের দৃষ্টিহীন আবাসিক স্কুলের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয় চার হাত এক করার। কারণ, পাত্রীর পরিবারের কেউই নেই। কিছুদিন আগেই বিয়ের জন্য সাহায্যের আরজি জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল। তাতে সাড়াও মিলেছে। বহু মানুষ সামর্থ্য মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন।
অবশেষে বুধবার রাতে সকলের আর্শীবাদে চার হাত এক হল। ছাদনা তলায় মালা বদল করে হিন্দু রীতি মেনে বিবাহ সম্পন্ন হল বাপি ও জ্যোৎস্নার। কোভিডবিধি মেনে বিয়ের অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছিলেন নিমন্ত্রিতেরা। সানাইয়ের সুরে মেতে উঠেছিলেন সকলে। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, ভাজা, মাংস, চাটনি, দই, মিষ্টি সবই। এই আয়োজনে আপ্লুত নবদম্পতি। পাত্র বাপি চক্রবর্তী বলেন, “এভাবে বিয়ে হবে তা কোনওদিনও ভাবিনি। সকলের আশির্বাদে নতুন জীবন ভাল করে কাটাতে চাই। পাত্রী জ্যোৎস্নার চোখেও নতুন সংসারের স্বপ্ন। তিনি বলেন, “সকলের আশীর্বাদে দাম্পত্য জীবন সুখে কাটুক এটাই চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.