রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: শিশুমৃত্যুতে ফের চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দু’নম্বর ব্লকের বসন্তিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন।
পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে শিশুকন্যাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তার শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। রাতেই ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ছ’বছরের শিশুকন্যার। এরপরই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিবারের লোকজন। বুধবার সকালেও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁথি থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ প্রসঙ্গে মৃত শিশুটির মা বলেন, “গতকাল রাত বারোটা নাগাদ মেয়ে অসুস্থ বোধ করায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। চিকিৎসকরা ইঞ্জেকশন দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ওর শরীর আবার খারাপ হতে থাকে। ফের হাসপাতালে নিয়ে আসি। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মেয়ের হাতে চ্যানেল করে চার-পাঁচটা ইঞ্জেকশন দেন। এরপর আমার মেয়ে কেমন হয়ে যায়। পরে বুঝতে পারি, ও মারা গিয়েছে।”
অন্যদিকে, বসন্তিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, “চিকিৎসার গাফিলতির যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেটি ভুল। আমরা ওই শিশুকে বাঁচানের সবরকম চেষ্টা করেছিলাম। শুধু তাই নয়, তাকে আমরা অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছিলাম। খবর দেওয়া হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্সকে। কিন্তু তার মধ্যেই মেয়েটির মৃত্যু হয়।” এ ধরনের ঘটনায় ফের গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.