ছবি: প্রতীকী
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নার্সিং ছাত্রীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ। এক পুলিশকর্মীকে গ্রেপ্তার করল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) গোপালনগর থানার পুলিশ। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি ধৃতের।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত পুলিশকর্মীর নাম উত্তম সরকার। নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানার হবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক। বর্তমানে আসানসোলে রাজ্য পুলিশের ৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কনস্টেবল পদে কর্মরত সে। বছরখানেক আগে ধৃত উত্তমের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় গোপালনগরের বাসিন্দা এক যুবতীর। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। এরপরই অভিযুক্ত ওই যুবতীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় উত্তম। অভিযোগ, ওই পুলিশকর্মী প্রেমিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাসও করে। যার জেরে কয়েকমাস আগে যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। যুবতীর দাবি, বিষয়টি জানার পরই বিয়েতে বেঁকে বসে উত্তম। বাধ্য হয়ে ওই যুবতী অভিযুক্তর বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে ঘটনার কথা খুলে বলে। তাতেও কোনও ফল হয়নি। এরপর ২২ মার্চ উত্তমের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
অভিযোগের খবর পেয়ে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে পালিয়ে যায় উত্তম। প্রায় তিনমাস বিভিন্ন জায়গায় গা-ঢাকা দিয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হল না। সোমবার রাতে সূত্র মারফত খবর পেয়ে নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় বনগাঁ মহকুমা আদালত। উত্তমের বাবার দাবি, “তাঁর ছেলে খুব নিরীহ। এ বিষয়ে সে কিছুই জানে না। যেহেতু ছেলে পুলিশের চাকরি করে তাই তাকে ফাঁসানো হয়েছে।” ধৃতের বাবা জানিয়েছেন, সন্তান তাঁদের পরিবারের তা প্রমাণিত হলে নির্যাতিতাকে মেনে নেবে তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.