রাজা দাস, বালুরঘাট: আবেদনের ১ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দেওয়া হল অসুস্থ শিশুর পরিবারের হাতে। সরকারকে এভাবে পাশে পেয়ে আপ্লুত আবেদনকারীরা। এই কার্ডই তিন মাসের সন্তানের প্রাণ বাঁচাবে বলে আশাবাদী তপনের দম্পতি।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) তপন ব্লকের দ্বীপখণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের যশোরাইয়ের বাসিন্দা পেশায় শ্রমিক বিশ্বজিৎ বর্মন৷ তাঁর স্ত্রী ববিতা। তাঁদের একটি মাস তিনেক বয়সের পুত্র সন্তান রয়েছে। জন্ম থেকেই ওই খুদের হার্টের সমস্যা। অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজন দেড় থেকে দুইলক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্ত দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এতটাকা জোগাড় কার্যত অসম্ভব। কোনও উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার ওই দম্পতি সোজা চলে আসেন বালুরঘাট জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে আবেদন করেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের। সেখানে উপস্থিত আধিকারিক সৌমজিৎ কুণ্ডু- সহ অন্যদের তৎপরতায় ১ ঘণ্টার মধ্যে কার্ড পেয়ে যান ওই দম্পতি।
এবিষয়ে বিশ্বজিৎ বর্মন বলেন, “বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে মালদহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে দূর্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অস্ত্রোপচার করতে। কিন্ত দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে এই আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে জানতে পেরেই আমরা চলে আসি জেলা প্রশাসন ভবনে। সন্তানকে বাঁচানোর আরজি নিয়ে আবেদন করি। এদিনই একঘণ্টার মধ্যে আমাদের স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়া হয়েছে।”
স্বাস্থ্যসাথীর জেলার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রানু মণ্ডল বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে আমরা শিশুর পরিবারের আবেদনটি পাঠাই রাজ্যকে। সেখান থেকে সন্মতি মেলায় আমরা খুব দ্রুত কার্ড আবেদনকারীদের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। এই কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুবিধা পাওয়া যাবে। জরুরি প্রয়োজন ভিত্তিতে আমরা জেলা প্রশাসনিক ভবন থেকেই এই পরিষেবা দিচ্ছি সঙ্গে সঙ্গে।” প্রসঙ্গত, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন জমা পরেছে এক লক্ষের বেশি। প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৪৮ হাজার। ইতিমধ্যে কার্ড বিলি হয়েছে ৩০ হাজার ৫৫৪।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.