অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: সিল করে দেওয়া তমলুকের একটি নার্সিংহোমের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার অভিযোগ। তুমুল উত্তেজনা ছড়ালো সবং থানার উদ্ধবপুর গ্ৰামে। অভিযোগ, ওই চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসাধীন এক মহিলার করোনা ধরা পড়েছে জানার পরেও তমলুকে নিজের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাননি। পরিবর্তে সবংয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেছেন। ফলে সবং থানার বুরাল গ্ৰাম পঞ্চায়েতের উদ্ধবপুর গ্ৰামে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
গ্ৰামবসীদের দাবি, চিকিৎসককে সরাতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি চিকিৎসক ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ওই চিকিৎসকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যদিও তার রিপোর্ট এখনও আসেনি। এ ব্যাপারে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, চিকিৎসক ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বলা হয়েছে। আর সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আতঙ্কের কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে গোটা ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করে সবংয়ের আর এক চিকিৎসক তথা রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেছেন, “উনি ভাল থাকুন এই প্রার্থনা করি। ওনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসুক এই কামনা করি।” এদিকে, গত ১৯ এপ্রিলে এই চিকিৎসক মোহারে নিজের চেম্বারে যে ৩২ জনকে চিকিৎসা করেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। গত ১৮ তারিখে এই চিকিৎসক যে মহিলার চিকিৎসা করেছেন তাঁর রবিবারে করোনা ধরা পড়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, “রবিবারের পর থেকে বাড়িতে রয়েছেন। কোনো রোগী দেখছেন না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.