Advertisement
Advertisement
Ashoknagar kidney case

বারবার একই চিকিৎসকের ফিট সার্টিফিকেট! অশোকনগর কিডনি কাণ্ডে এবার স্ক্যানারে এক ডাক্তার

প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের ভূমিকাও।

A doctor is now under scanner in the Ashoknagar kidney case
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 27, 2025 7:23 pm
  • Updated:March 27, 2025 7:23 pm  

অর্ণব দাস, বারাসত: সুদের চাপে কিডনি বিক্রির টিম রাজ্যে একটি নয়, একাধিক। তাদের কাজের পদ্ধতিও প্রায় একই। গ্রাউন্ড লেভেলের সুদখোরদের সঙ্গে কমবেশি সব টিমেরই যোগাযোগ রয়েছে। ধৃত সুদখোর বিকাশ ঘোষ ওরফে শীতলের পর ধৃত গুরুপদ জানা ওরফে অমিত, মৌসুমী সর্দার, তাঁর স্বামী গৌড় সর্দার এবং পিয়ালী দে’কে জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। তদন্তে উঠে আসছে এক চিকিৎসকের যোগও। তিনিই নাকি সবকটি ক্ষেত্রে দিয়েছিলেন ফিট সার্টিফিকেট।

রাজ্যের একাধিক জেলায় অমিতদের মতই কিডনি পাচারের টিম সক্রিয়। খদ্দের জোগাড় করতে রীতিমতো দালাল রাখা ছিল কলকাতা-সহ সংলগ্ন এলাকার নামজাদা নেফ্রলজি সেন্টারে। সেখান থেকেই তাঁরা জানতে পারত কোন রোগীর কিডনির লাগবে, তাঁর ব্লাড গ্রূপ কী। এরপরই অমিতরা শীতলের মত সুদখোরদের কিডনি জোগাড়ে নামিয়ে দিত। তখনই সুদখোররা অসহায়দের চাপ দিয়ে কিডনি বিক্রি করাতে রাজি করাত। হতদরিদ্ররা কিডনি বিক্রি করতে রাজি হলে প্রয়োজনীয় নথি, আইনী স্বীকারোক্তির দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসকের ‘ফিট সার্টিফিকেট’ লাগে। বারাসত মহকুমা এলাকার প্রায় সব দাতাদের একজন নেফ্রলজি চিকিৎসকই এই ফিট সার্টিফিকেট দিত বলেই বিশ্বস্ত সূত্রের খবর। তাই সেই ডাক্তারকেও সন্দেহের তালিকায় রেখেছে পুলিশ। পাশাপাশি বাকি কিডনি পাচারের টিমের খোঁজ পেতে একদিকে যেমন ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তেমনই বিভিন্ন এলাকায় চড়া সুদের কারবারিদেরও আতসকাচের নিচে রেখেছে পুলিশ।

Advertisement

সূত্রের খবর, বিগত দু’বছরে অশোকনগর এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি কিডনি দান করতে চাই বলে স্বাস্থ্য জেলায় আবেদন হয়েছিল। সংখ্যাটা ছিল ১০ জন। এছাড়াও মধ্যমগ্রাম থানা এলাকায় ৬জন, হাবড়া থানা এলাকায় ৫জন, নিউটাউন এলাকায় ২জন আবেদন করেছিল। আর বারাসত, দেগঙ্গা, দত্তপুকুর, বাগুইহাটি এলাকায় ১জন করে কিডনি দিতে চায় বলে জানিয়েছিল। এক্ষেত্রে প্রথমে হয় পুলিশ ভেরিফিকেশন। তারপর হয় মহকুমা স্তরে হেয়ারিং। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় কেন ‘পাচার’ ধরা পড়লো না, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একই চিকিৎসক বারবার ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়টিও কীভাবে স্বাস্থ্য জেলার নজর এড়াল এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সর্বোপরি বারবার ‘চেনা মুখের’ মাধ্যমে দাতা ও গ্রহীতা জোগাড় কেন কলকাতার সেই বেসরকারি হাসপাতালে সন্দেহের কারণ হল না, এটাও ভাবাচ্ছে সকলকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement