জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: রোগীর চাপে ২ মাস বাড়ি ফিরতে পারেননি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক শ্রীদীপ মণ্ডল। অথচ নিজের গ্রাম হাসনাবাদে ছড়িয়ে পড়েছে যে, করোনা আক্রান্ত তিনি। যার জেরে এলাকায় কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
তিন বছর ধরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা ডাঃ শ্রীদীপ মণ্ডল। হাসনাবাদেই থাকেন তাঁর বাবা-মা। শেষ ২ মাসে হাসপাতালের রোগীর চাপের কারণে বাতিল হয়েছে ছুটি। তাই বাড়ি ফিরতে পারেননি। এরই মধ্যে করোনা আতঙ্ক চেপে বসেছে সকলের মনে। জানা গিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে দিন তিনেক আগে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে যে কানাডায় গিয়েছিলেন শ্রীদীপবাবু। এবং করোনা আক্রান্ত তিনি। পুলিশ জোরপূর্বক তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়েছেন এমন গুজব ছড়াতেও খুব একটা সময় লাগেনি। এরপরই প্রবল সমস্যার মুখে পড়তে হয় ওই চিকিৎসকের পরিবারকে। গ্রামের বাসিন্দাদের কৌতুহলি নজর গ্রাস করেছে তাঁদের। একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে মণ্ডল দম্পতিকে। এই গুজবের জেরে কার্যত একঘরে হওয়ার জোগাড় হয়েছে ওই পরিবারের।
এ বিষয়ে শ্রীদীপবাবু জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবা-মা শেষ কয়েকদিন ধরে কার্যত ঘরের বাইরেই বের হতে পারছেন না। একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এবিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, করোনা আতঙ্ক ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। একই পরিস্থিতি এরাজ্যেও। বিদেশ ফেরত কেউ এলাকায় ঢুকলেই সন্দেহের নজরে দেখা হচ্ছে তাঁদের। অনেকক্ষেত্রে এলাকাতে ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না। ভুল বোঝাবুঝির কারণেও চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বহু মানুষকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.