রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কয়েকমাস আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের খালে দেখা গিয়েছিল ডলফিন। এবার মহিষাদলের গেঁওখালি নদীতে মিলল একটি মৃত ডলফিন। খবর পেয়ে মহিষাদলের রাজ কলেজের প্রাণী বিভাগের পড়ুয়ারা ডলফিনটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কোথা থেকে ডলফিনটি ওই খালে এল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় বনদপ্তরের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
বুধবার সকালে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান সারতে গেঁওখালি নদীর পারে ভিড় জমান এলাকার বহু মানুষ। সেই সময় তাঁদের নজরে পড়ে জলে কিছু একটা ভাসছে। এরপর কাছে যেতেই তাঁরা বুঝতে পারেন যে সেটি ডলফিন। মুহূর্তে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে ডলফিনের কথা। নদীর পাড়ে সেটিকে দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ। পড়ে এলাকার একটি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের পড়ুয়ারা মৃত ডলফিনটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সেটির দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। কিন্তু কোথা থেকে ডলফিনটি ওই নদীতে এল, কীভাবে সেটির মৃত্যু হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, নদীতে ভারী কোনও বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা লেগেই মৃত্যু হয়েছে ডলফিনটির। যদিও এবিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানা এলাকার উদবাদালে খালের ভিতর দিয়ে অদ্ভুত একটি প্রাণী ঘুরে বেড়াচ্ছিল। নজর পড়তেই স্থানীয়রা বুঝতে পারেন তা ডলফিন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশ ও বনদপ্তরের আধিকারিকরা। প্রাণীটির সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ডলফিনটির উপর নজরদারি চালাতে শুরু করে পুলিশকর্মীরা। ঘিরে ফেলা হয় খাল। পরের দিন সকালে নেতুড়িয়ার কাছে মুগবেড়িয়া খালে ওই ডলফিনটির দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। তার শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন মেলে। এর কয়েকদিনের ব্যবধানে শ্যামপুর এলাকায় একটি খালে ডলফিন দেখতে পান স্থানীয়রা। কৌতুহলী জনতা সেটিকে দেখতে ভিড় জমান। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডলফিনটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বনদপ্তরের আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.