দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পেটের দায়ে জঙ্গলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেই যে কাল হবে তা বুঝতে পারেননি মৎস্যজীবী। সুন্দরবনের ব্যাঘ্র প্রকল্পের দোবাঁকি জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে আচমকাই এল বিপদ। বাঘে টেনে নিয়ে গেল মৎস্যজীবী। নিমেষে মাথা থেকে গলা এবং একটি পা খেয়েও ফেলে ‘মানুষখেকো’। মৎস্যজীবীরা সঙ্গীর আশা ছেড়ে দেন। আতঙ্কে গ্রামে ফিরে আসেন তাঁরা। পরে অবশ্য গ্রামবাসীরা জঙ্গলে যান। বাঘের সঙ্গে লড়াই করে দেহ নিয়ে গ্রামে ফেরেন তাঁরা।
নিহত মৎস্যজীবীর নাম প্রফুল্ল সর্দার। তাঁর বাড়ি কুলতলির গোপালগঞ্জ এলাকায়। শুক্রবার সকালে তিনজন মৎস্যজীবীর একটি দল কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল সুন্দরবনের জঙ্গলে। তখনই প্রফুল্ল সর্দারকে বাঘে আক্রমণ করে। সঙ্গীরা ভয়ে জঙ্গলে ফেলে রেখে পালিয়ে আসে নিহতের দেহ। পরে এলাকায় থেকে আরও কিছু মানুষ গিয়ে দেহটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। শুধু তাই নয় দেহটি উদ্ধার করার সময় দেখা যায় বাঘে ওই মৎস্যজীবীর একটি পা এবং মাথা থেকে গলা পর্যন্ত পুরো অংশটি খেয়ে ফেলেছে। এরপর দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন গ্রামবাসীরা। বিকৃত দেহ দেখার পর নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি নিহতের পরিজনেরা। তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই কেঁদে ভাসাচ্ছে পরিবার। এদিকে, আবার প্রফুল্লই ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাই স্বাভাবিকভাবে কীভাবে সংসার চলবে, সেই চিন্তাও গ্রাস করেছে ওই পরিবারের সকলকে।
বনদপ্তরের কানেও পৌঁছেছে মৎস্যজীবীর প্রাণহানির খবর। তাঁদের তরফে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ওই মৎস্যজীবী আদৌ বৈধ কাগজপত্র নিয়ে সুন্দরবনে কাঁকড়া শিকার করতে গিয়েছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.