দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁকড়া ধরে তা বিক্রি করে জীবনযাপন করে আসছেন ছোট থেকেই। সংসারে অভাবের ছাপ স্পষ্ট।। ভাঙা ঘরে চার মেয়েকে নিয়ে সাতজনের সংসার। নদীতে কাঁকড়া ধরতে না গেলে খাবার জোটে না। জলে কুমির ডাঙায় বাঘ। আর সেই সব ভয়কে উপেক্ষা করে সুন্দরবনের (Sundarbans) নদী ও জঙ্গলে নেমে প্রতিদিন কাঁকড়া সংগ্রহ করতেন মৎস্যজীবী। অল্প সময়ে বেশি পয়সা উপার্জনের আশায় প্রতিনিয়ত লটারির টিকিট কাটতেন তিনি। আর তাতেই হল লক্ষ্মীলাভ। জিতলেন কোটি টাকা।
বাজারে কাঁকড়া বিক্রি করে যে টাকা পেতেন সেই টাকা দিয়েই বেশিরভাগ সময়ে লটারির (Lottery) টিকিট কাটতেন সন্তোষ দোলুই দামে ওই মৎস্যজীবী। আর তা নিয়েও মাঝেমধ্যে বাড়িতে চলত অশান্তি। কারণ, লটারির টিকিট কাটা তাঁর নেশায় পরিণত হয়েছিল। পরিবারের অশান্তির চাপেও বন্ধ হয়নি লটারির টিকিট কাটা। মঙ্গলবার সরবেড়িয়া বাজার থেকে বিহার সরকারের লটারি টিকিট কাটেন ওই মৎস্যজীবী। বাড়িতে লটারির টিকিট রেখে চলে যান কাঁকড়া সংগ্রহ করতে। বুধবার বিকেলে সারাদিনের সংগ্রহকারী কাঁকড়া বিক্রি করতে আসেন বাজারে। আবারও টিকিট কাটার কথা ভাবেন তিনি। মিলিয়ে দেখেন পুরনো টিকিটের নম্বরে পুরস্কার পেয়েছেন কিনা। নম্বর মেলাতেই দেখেন এক কোটি টাকা প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
তারপর ওই মৎস্যজীবী চলে আসেন বাড়িতে। ততক্ষণে গোটা গ্রামে জানাজানি হয়ে যায় কোটি টাকা জেতার গল্প।লক্ষ্মীলাভে বেজায় খুশি ওই মৎস্যজীবী (Fisherman)। তিনি জানান,”বৃষ্টি পড়লেই বাড়িতে জল ঢুকে যায়। তাছাড়া চারটে মেয়ে পড়াশোনা করতে চায়। এই টাকা দিয়ে একটা ঘর বানাব। আর চার মেয়েকে পড়াশোনা করাব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.