ছবি: প্রতীকী
বাবুল হক, মালদহ: ধর্ষণের বদলা নিতে ধর্ষণ! তাতেও ক্রোধ মেটেনি। দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে বাঁশের কঞ্চি ঢুকিয়ে খুন করল প্রতিবেশী এক ব্যক্তি। খুনের পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের সিলিংয়ে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের মানিকচক থানা এলাকায়। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ব্রাহ্মণী গ্রামে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত প্রতিবেশী৷
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার বাবা ও অভিযুক্ত কয়েকবছর ধরেই দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করত। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিবারও দিল্লিতে থাকত। অভিযোগ, মৃতার বাবা দু’বছর আগে অভিযুক্তের মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল৷ সেই ধর্ষণের অভিযোগে দু’বছর ধরে বিচারাধীন বন্দি হিসাবে দিল্লির সংশোধনাগারে রয়েছে ছাত্রীর বাবা। সম্প্রতি অভিযুক্ত সপরিবারে মালদহের বাড়িতে ফিরে আসে। মেয়েকে ধর্ষণের বদলা নিতে এবার এই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর সে খুন করে বলে অভিযোগ। মালদহের মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, সে মানিকচকের এসটিভি হাই স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। বুধবার রাতে বাড়িতে অন্যরা কেউ ছিলেন না। ওই ছাত্রী একাই বাড়িতে ছিল। সেই সময় অভিযুক্ত ছাত্রীকে একা পেয়ে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে। তারপর ছাত্রীর উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়ে খুন করে পালায় বলে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।
মৃত ছাত্রীর এক কাকা জানিয়েছেন, তাঁর দাদা দিল্লিতে জেলে রয়েছে। বউদি তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে মানিকচকের বাড়িতে থাকেন। দু’বছর আগে অভিযুক্তের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে মৃতার বাবা৷ এখনও পর্যন্ত সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দি অবস্থায় রয়েছে। মৃত ছাত্রীর কাকার অভিযোগ, “মানিকচকের বাড়িতে ফিরে আসার পর থেকেই বদলা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল অভিযুক্ত। দিল্লির ওই ঘটনার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বউদির কাছে ৫ লক্ষ টাকা এবং ৫ কাঠা জমি চেয়েছিল। গরিব পরিবারের পক্ষে সেটা দেওয়া সম্ভব ছিল না। এ নিয়ে আক্রোশ বাড়তে থাকে। বুধবার রাতে বউদি ও তাঁর দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ভাইজি একাই ছিল। সেই সুযোগ নিয়ে ভাইজিকে ঘরে আটকে ধর্ষণ করার পর তাকে মারধর করা হয়। এমনকী বাঁশের কঞ্চি যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। রাতে বউদিরা বাড়ি ফিরে আসতেই ভাইজির মৃত্যুর খবর জানতে পারি। মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.