শাহজাদ হোসেন, জঙ্গিপুর: মোবাইল গেম (Mobile Game) নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বিবাদের জের। মোবাইল আছড়ে ভেঙে ফেলে ভাই। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর দেহ। মোবাইব ভেঙে দেওয়ায় অভিমানে কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মুর্শিদাবাদের পাটকেলডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের আমলাবাড়িতে শোকের ছায়া।
মৃত কিশোরীর নাম সুফিয়া খাতুন। মাত্র পনেরো বছর বয়সি সুফিয়া গৌরীপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাএী ছিল। আমলাবাড়ির দরিদ্র পরিবারে সন্তান সুফিয়া। বাবা গ্রামে গ্রামে কাপড় বিক্রি করে বেড়ান। সুফিয়া ও তার একমাত্র ছোট ভাইকে নিয়ে সংসার বাবা-মায়ের। শুক্রবার রাতে সুফিয়া মোবাইল গেম নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ভাই এসে আবদার করে সে মোবাইলটি নেবে। দিদি মোবাইল দিতে নারাজ। ভাই রাগে দিদির হাত থেকে মোবাইল কেড়ে আছড়ে ভেঙে ফেলে। এই ঘটনার পর সুফিয়া ঘরের ভিতর ঢুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। এমন তুচ্ছ কারণে আত্মহত্যার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না সুফিয়ার বাবা-মা। সন্তানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। চোখের জলে ভাসছেন আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। এদিকে, দিদির মৃত্যুর পর থেকেই চোখের জল বাঁধ মানছে না কিশোরীর ভাইয়েরও। তবে প্রকৃতই কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.