শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করেছে বলেই অভিযোগ। তারপরই থানার শৌচাগারে এক কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার ক্যাম্পাসের ঘটনা। এই ঘটনা নজরে পড়তেই কর্মরত পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে। তবে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তার।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কালিয়াগঞ্জের কাশীডাঙার বাসিন্দা ওই কিশোরীর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি হয়। বিয়ে করতে অস্বীকার করে যুবক। তা নিয়ে থানার সামনে দাঁড়িয়ে ওই কিশোরী ও যুবক দু’জনের কথা হচ্ছিল। সেই সময় দু’জনে ঝগড়াঝাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর হঠাৎ ওই মেয়েটি থানার শৌচালয়ে যায়। তবে দীর্ঘক্ষণ ফিরছিল না সে। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে। পুলিশকর্মীরা শৌচালয়ে দৌড়ে যান। তাঁরা দেখেন, শৌচালয়ের লোহার আংটায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে কিশোরী। পুলিশকর্মীরা এই দৃশ্য দেখে কার্যত শিউরে ওঠেন। শৌচালয় থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তার।
থানার ভিতরে আত্মহত্যার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ অভিযোগ নিতেও অস্বীকার করে বলে দাবি মৃতার পরিবারের। দীর্ঘ চাপানউতোরের পর শেষ পর্যন্ত রাতে মৃতার পরিবারের তরফে ওই যুবকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিশোরীর বাবার অভিযোগ, “হেমতাবাদের বেলতার যুবক সুফিয়ান আলি আমার মেয়েকে ডেকেছিল। মেয়ের সঙ্গে গোলমাল মেটানোর জন্য থানাতে গিয়েছিল দু’জনে। তারপরই এই কাণ্ড। ছেলেটির জন্যই আমার মেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তাই আত্মহত্যা করেছে।”
রাতভর টানাপোড়েনের পর শুক্রবার সকালে কিশোরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সে। যুবকের দাবি, কিশোরীর সঙ্গে বিয়ে নিয়ে কোনও কথাই হয়নি তার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.