সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ডহারবার: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। বিশ্বাস করুন আর নাই বা করুন, ছবি দেখে কিন্তু আপনার চক্ষুও চড়ক গাছে উঠতে বাধ্য। সিমেন্টের মেঝেতে ফুটে উঠেছে এক দেবীর অবয়ব। একটু মন দিয়ে দেখলেই আপনারও চোখে পড়তে পারে সেই দেবীর প্রতিচ্ছবি। চোখ, ভ্রু-যুগল, নাকে নলক, বিকশিত দন্তরাজি, সহাস্য মুখে ‘তিনি’ তাকিয়ে রয়েছেন। এক্কেবারে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে সেই ছবি।
এক ব্যক্তির বাড়ির বারান্দায় ‘দেবী’র এরকমই প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই, এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। ভাবছেন তো যে, এমন ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে? দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বজবজের চিংড়িপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দরামপুরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় সুভাষ ঘাঁটি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেই এমন অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছে। তাঁর বাড়ির বারান্দায় হঠাৎ করে কোনও এক দেবীর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায়। বাড়ির লোকের কথা অনুযায়ী, প্রায় দু’বছর ধরেই বারান্দায় এই প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেলেও তাঁরা কেউই গুরুত্ব দেননি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই শুরু হয় বিপত্তি।
এরই মাঝে জটাধারী এক ভদ্রমহিলা এসে সারা বারান্দায় গড়াগড়ি খেতে শুরু করেন। তিনি বলতে শুরু করেন যে তিনি পাতাল ভৈরবী মা, গত ৩০ বছর ধরে এই বাড়ির নিচে রয়েছেন। তিনিই দাবি তুলেছেন, একটি মন্দির করা হোক। তবেই মায়ের কু-দৃষ্টি থেকে মুক্তি মিলবে। এরপরই শুরু হয় বাাড়িজুড়ে পূজা-অর্চনা। সেই প্রতিচ্ছবিকে ঘিরে জমতে থাকে দক্ষিণার পাহাড়। যত সময় গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে লোকজন আর দানের পরিমাণ। পাতাল ভৈরবীকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। এমনকী, অটো এবং টোটো রিজার্ভ করেও দেখতে আসছেন দর্শনার্থী। যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা এমনটা মানতে নারাজ। তারা ঘটনাটি বুজরুকি বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.