ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: দিনেদুপুরে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা হকারকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুঁড়ে চম্পট দিল এক যুবক। গুরুতর জখম হয়েছেন ওই হকার ও আরও দুই কিশোর।ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিদ্যাধরপুর স্টেশনের। কেন এমন কাণ্ড? ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না স্টেশনে উপস্থিত জনতা। সোনারপুর রেল পুলিশের দাবি, ট্রেন থেকে নয়, প্ল্যাটফর্ম থেকেই ছোঁড়া হয়েছিল অ্যাসিড।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিশ্বনাথ মণ্ডল নামে ওই হকার প্লাটফর্মে নিজের দোকান খুলে বসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ শিয়ালদহ-ক্যানিং লোকাল বিদ্যাধরপুর স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতেই মাস্ক পরা এক যুবক আচমকাই বিশ্বনাথবাবুর উদ্দেশ্যে অ্যাসিড ছুঁড়ে মারেন। চোখের নিমেষে সে ট্রেনে উঠে পালিয়েও যায়। ততক্ষণে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে লুটিয়ে পড়েছেন বিশ্বনাথবাবু। আহতের দোকানের পাশেই কয়েকজন কিশোর খেলছিল। অ্যাসিড ছিটকে তাদের গায়েও লাগে। দুই কিশোরের পিঠের একটা অংশ সামান্য পুড়ে যায়। তিনজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুই কিশোরকে ছেড়ে দেওয়া হলেও পিজি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন বিশ্বনাথ। তাঁর চোখের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ বলেই জানা গিয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ কেন অ্যাসিড হামলা? প্রশ্ন উঠতে থাকে, সত্যিই কি বিশ্বনাথবাবুই টার্গেট ছিলেন? নাকি অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল অ্যাসিড? কেউ কেউ বলেন, বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রীকে লক্ষ্য করেই হয়তো অ্যাসিড ছোঁড়া হয়েছিল। তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বিশ্বনাথবাবুর গায়ে লেগে যায়। এপ্রসঙ্গে সোনারপুর রেল পুলিশ জানিয়েছে, পুরনো আক্রোশের জেরে বিশ্বনাথবাবুকে টার্গেট করা হয়েছিল। কোনও যুবক ট্রেন থেকে নেমে এসে এই ঘটনা ঘটায়নি। পরিকল্পিতভাবেই স্টেশন থেকে অ্যাসিড ছোঁড়া হয়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। আহত কিশোরদের অভিভাবকের কথায়, “এ ঘটনায় আমরা অত্যন্ত আতঙ্কে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটানো জানি না। অভিযুক্তকে ধরে শাস্তি দেওয়া উচিত।” এই ঘটনার পর থেকেই স্টেশনে নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করার দাবি তুলেছেন যাত্রীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.