সৌরভ মাজি, বর্ধমান: পুরনো এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছিলেন। এই নিয়ে সন্দেহ করতে থাকে স্বামী। বিবাদ বাঁধে। পারিবারিক সমস্যার মীমাংসায় বৈঠকও বসে। সেখান থেকে স্ত্রীকে মারতে মারতে নিয়ে গিয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় (Kalna)। ঘটনায় মৃত পায়েল হালদার বর্মনের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন বাপের বাড়ির লোকজন।
কালনার লক্ষ্মণপাড়ার বাসিন্দা পলাশ হালদারের বড় মেয়ে পায়েল। প্রায় ১২ বছর আগে কালনার নিচু জাপট এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ বর্মনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের ৪ বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। প্রথম প্রথম সব ঠিকঠাকই ছিল। পায়েলের বাবা পলাশ হালদারের অভিযোগ, সম্প্রতি শ্বশুরবাড়িতে পায়েলের উপর নির্যাতন শুরু হয়। তার কারণ ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে নিজের এক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে পুরনো একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। তা নিয়ে বুধবার দুই পরিবারের সদস্যদের একটি আলোচনা চলছিল।
অভিযোগ, সেখান থেকে পায়েলকে জোর করে বাড়ি নিয়ে যায় অভিজিৎ। এর কিছু পরেই পায়েলের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের মাধ্যমে তাঁর বাবা খবর পান মেয়ের শরীরে আগুনে ঝলসে গিয়েছে। পায়েলের বাপের বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি শ্বশুরবাড়িতে দৌড়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন দগ্ধ অবস্থায় শৌচাগারের মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন পায়েল। কেউ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্তও করেনি বলেই অভিযোগ। পাড়ার লোকজনের সহায়তায় বাপের বাড়ির লোকজন পায়েলকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসক জানান ততক্ষণে পায়েলের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের বাবার দাবি, পায়েলের জিভ বেরিয়েছিল। আর তা দেখেই তাঁর অনুমান পায়েলকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পরে পায়েলের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পায়েলের স্বামী অভিজিৎ-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ ইতিমধ্যেই পায়েলের শাশুড়িকে আটক করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.