দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: গৃহবধূর স্নানের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা রবি ঠাকুর সরব হয়েছিলেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতার দিকে। থানায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শও দেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হতেই তৃণমূলের এক স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা তার দলীয় কর্মীদের নিয়ে এসে উলটে গৃহবধূর পরিবারকে দিয়ে জোর করে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করায়। এদিকে ওই গৃহবধূ এই অন্যায় কোনওমতেই মন থেকে মেনে নিতে পারছিলেন না। সুযোগ বুঝে তাই সোজা চলে যান চুঁচুড়া থানা। গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার। হুগলি ষ্টেশন সংলগ্ন লাইন ধার এলাকায় ওই তরুণী গৃহবধূর বাড়ি। তাঁর বাড়ির শৌচালয়ের ছাদ নেই। অভিযোগ, সেই সুযোগে রাস্তার পাশে ল্যাম্প পোষ্টে কাজ করার সময় এক যুবক তরুণীর নগ্ন ছবি তুলে নেয়। সে তার মোবাইলে ওই তরুণীর স্নানের দৃশ্যের ভিডিও করে। পরে তরুণীকে সেই স্নানের ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে। গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। তরুণী ওই গৃহবধূ এরপর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি এলাকার বিজেপি নেতা রবি ঠাকুরকে ঘটনার কথা জানান। এরপর রবি ঠাকুর স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। থানায় অভিযোগ দায়ের কারার উদ্যোগও নেন। পরিবর্তে তার বিরুদ্ধেই গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা সোনালি দত্ত মল্লিক ও ওই সদস্যার স্বামী তাঁকে ভয় দেখিয়ে জোর করে মিথ্যে অভিযোগ জানাতে বাধ্য করে।
এরপর থেকেই গৃহবধূ আরও বেশি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। সুযোগ বুঝে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে চুঁচুড়া থানায় যান। পুলিশের কাছে পুরো ঘটনার বিবরণ দেন। অভিযোগ দায়ের করেন। চুঁচুড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় কীভাবে রাজনীতির রং লাগল, তা জানেন না ওই গৃহবধূ। তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষের দড়ি টানাটানি ভাবাচ্ছে নির্যাতিতার পরিজনদেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.