ছবি: প্রতীকী
অংশুপ্রতীম পাল, খড়গপুর: চোখের সামনে মাকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা। দুই শিশুর চিৎকারে দৌড়ে আসেন দম্পতির প্রতিবেশীরা। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী খড়গপুরের কুচলাতরী। মানসিক অবসাদের জেরে ওই ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলেই দাবি পুলিশের।
বছর চৌত্রিশের যুগল নায়েকের সঙ্গে বকুলের বিয়ে হয় বেশ কয়েক বছর আগে। বছর আটেক এবং ছয়ের দু’টি শিশুকন্যা রয়েছে তাঁদের। বুধবার ভোরে বাবা এবং মায়ের ঝগড়াঝাটির শব্দে ঘুম ভেঙে দু’জনের। তারা দেখে, ঝগড়াঝাটির ফাঁকে স্ত্রীকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে থাকেন যুগল। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। ঝটফট করতে করতে একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বকুল। এরপর মুহূর্তের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে থাকেন যুগল।
বাবা এবং মায়ের মর্মান্তিক অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই দুই শিশুকন্যা। তারা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির বাইরে বেরোয়। প্রতিবেশীদের মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানায়। দৌড়ে আসেন প্রতিবেশীরা। বকুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। যুগলের ঝুলন্ত দেহও দেখতে পান। খড়গপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন যুগল। অত্যধিক মদ্যপানও করছিলেন। তার জেরে দাম্পত্য সম্পর্ক উষ্ণতাও হারায়। ঝগড়াঝাটি লেগেও থাকত দু’জনের। তার জেরে স্ত্রীকে খুন করে যুগল আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কী কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন যুগল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.