ছবি: প্রতীকী।
দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা দেওয়ার জের। প্রেমিকার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) মগরা থানার মনসাতলা বৈকুন্ঠপুরে। বর্তমানে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্ত যুবক। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আক্রান্তের স্ত্রী, তার প্রেমিক ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত অভিজিৎ সর্দার পেশায় রাজমিস্ত্রি। বছর দশেক আগে মগরার বৈকুন্ঠপুরের স্বপ্না সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের ৮ বছরের একটি ছেলে ও ৫ বছরের একটি মেয়ে আছে। জানা গিয়েছে, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির কাছে একটি ঘরভাড়া করে সেখানেই সংসার শুরু করে সর্দার দম্পতি। সংসার জীবনের দু’বছর পেরতে না পেরতেই বলাগড়ের জিরাটের বাসিন্দা রবীন বৈদ্যর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বপ্না। দীর্ঘদিন স্বামী ও প্রেমিক দু’জনের সঙ্গে সমান্তরালভাবে সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হলেও সম্প্রতি অভিজিৎ তাঁর স্ত্রীর কীর্তির কথা জানতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। নিত্য ঝামেলা শুরু হয় তাঁদের মধ্যে।
প্রতিবেশীদের কথায়, মঙ্গলবার রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে রবীনের সঙ্গে দেখে রীতিমতো ক্ষেপে যান অভিজিৎ। তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীনই ঘরে থাকা একটি কাটারি তুলে নিয়ে রবীন অভিজিৎকে আক্রমণ করে। এলোপাথারি কোপাতে থাকে তাঁকে। মুহূর্তে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অভিজিৎ। বেগতিক বুঝে রবীন সাইকেল নিয়ে এলাকা ছাড়ে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে আহতকে মগরা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই মগরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বপ্না ও তার মা যুথিকা সর্দার ও প্রেমিক রবীন বৈদ্যকে গ্রেপ্তার করে। বুধবার ধৃত তিনজনকেই চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.