ছবি: প্রতীকী
শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের। যুবক-যুবতীকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক মারধর।লাঠি, ঝাঁটা, জুতো বাদ যায়নি কিছুই। ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। নিমেষে ভাইরাল ভিডিও। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার নীতি পুলিশের আচরণে স্তম্ভিত প্রায় সকলে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার মনোহরপুরের বাসিন্দা যুবকের সঙ্গে কুলদহ গ্রামের গৃহবধূর দীর্ঘদিন ধরে আলাপ। বাড়িতে আসাযাওয়া লেগেই থাকত তাঁদের। স্থানীয় দাবি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন দু’জনে। শুক্রবার রাতে গৃহবধূর বাড়িতে যান যুবক। অভিযোগ, দু’জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। এরপরই তাঁদের ঘিরে ধরে এলাকাবাসী। বসে সালিশি সভাও। মোড়লদের নির্দেশ অনুযায়ী দু’জনকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে ফেলা হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় দু’জনকে। লাঠি, ঝাঁটা, জুতো দিয়ে চলে অকথ্য অত্যাচার।
ওই ঘটনার ভিডিও করেন অনেকেই। তা নিমেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তা নজরে আসে পুলিশেরও। এরপর তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তাঁদের উদ্ধার করে ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন দু’জনে। এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।গ্রামের মাতব্বরদের নীতিপুলিশিকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। কে কার সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হবেন, তা কেউ ঠিক করে দিতে পারেন না বলে মত বিদ্বজনদের। এ ধরনের আচরণ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছু নয় বলেও মনে করছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে দাম্পত্য অশান্তির ঘটনায় কার্যত সরগরম হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার। সারাক্ষণ ফোন ব্যস্ত থাকায় যুবক তাঁর স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত বলে সন্দেহ করেন। আর সেই সন্দেহের বশে স্ত্রীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। মহিলাকে হাসপাতালেও ভরতি হতে হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নীতিপুলিশির ঘটনায় চন্দ্রকোণায় উত্তেজনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.