ছবি: প্রতীকী।
শেখর চন্দ, আসানসোল: মদ্যপ অবস্থায় দুই শ্যালককে খুনের অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত আসানসোলের (Asansol) বারাবনির নুনি গ্রাম। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গলায় গামছা জড়িয়ে শ্বাসরোধের পর জলে ডুবিয়ে তাঁদের খুন করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।
ধৃত হারু বাউড়ি বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাঁটির বাসিন্দা। বেশ কয়েকবছর আগেই বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর থেকে আসানসোলের বারাবনির নুনি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই থাকত হারু। তার দুই শ্যালক হাবুল এবং অলোক ওই একই এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়দের দাবি, শ্যালকদের সঙ্গে জামাইবাবুর সম্পর্ক বেশ ভালই ছিল। শনিবার রাতে কপিলেশ্বর মন্দিরের কাছে বসে একসঙ্গে মদ্যপানও করছিল তারা। আর তারই মাঝে ঘটল বিপত্তি।
অভিযোগ, মদ্যপানের সময় হাবলু বাউড়ি, অলোক বাউড়ির সঙ্গে হারুর বাউড়ির সঙ্গে বচসা বাঁধে। বচসা মুহূর্তের মধ্যেই হাতাহাতির রূপ নেয়। অভিযোগ, হারু তার দুই শ্যালক হাবলু ও অলোককে মারধর করতে শুরু করে। মারধরের মাঝেই দুই শ্যালকের গলায় গামছায় পেঁচিয়ে ফেলে। শ্বাসরোধ হয়ে যায় তাঁদের। এখানেই নৃশংসতার শেষ নয়। দুই শ্যালকের মৃত্যু নিশ্চিত করতে ডোবায় ডুবিয়েও দেওয়া হয় তাঁদের। শ্বাসরোধ অবস্থায় ডোবার জলে ডুবিয়ে দেওয়ার ফলে ওই দু’জনের মৃত্যু হয়।
তবে খুনের পর গা ঢাকা দিয়ে শেষরক্ষা হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই খুনের (Murder) ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। স্থানীয়রা হারুর বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়ি থেকে বেরলে স্থানীয়রা তাকে ঘিরে ধরে। খবর দেওয়া হয় আসানসোল উত্তর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অভিযুক্ত হারুকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে কী কারণে দুই শ্যালককে খুন করল জামাই, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ধৃতকে জেরা করেই খুনের কারণ সামনে আসবে বলেই আশা তদন্তকারীদের। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিজনেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.