ছবি: প্রতীকী
সুমন করাতি, হুগলি: স্ত্রী ও ছ’বছরের সৎ মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার পর আত্মহত্যা করার চেষ্টা স্বামীর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাটের কামারপুকুর এলাকায়। পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই ব্যক্তি এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই প্রাথমিক অনুমান আত্মীয় পরিজনদের।
সম্প্রতি বিয়ে করেন শিল্পা ও মৃণাল দত্ত। অদ্রিজা শিল্পার প্রথম পক্ষের সন্তান। মৃণাল দত্ত আদতে নদিয়ার বাসিন্দা। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ। চাকরিও করতেন। মাসচারেক আগে কামারপুকুরের মধুবাটি এলাকায় একটি বাড়িভাড়া নেন। সেখানেই স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক কর্মসূত্রে অন্যত্র ছিলেন মৃণাল। কয়েকদিন আগে ভাড়া বাড়িতে ফেরেন। তারপর থেকে চাপা অশান্তি চলছিল। সোমবার সকালে বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। বারবার ডাকাডাকির পরেও কারও শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না।
প্রতিবেশীরা দম্পতির আত্মীয়দের খবর দেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভাঙেন। ঘরের ভিতরে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ। দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শিল্পা, তাঁর মেয়ে অদ্রিজা এবং মৃণাল। শিল্পার শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। ছোট্ট অদ্রিজার ঘাড়েও রয়েছে ধারাল অস্ত্রের ক্ষত। দু’জনকে খুন করার পর নিজেও ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মৃণাল।
গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ দুটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় তাঁদের। মৃণাল দত্তকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। কী কারণে এই চরম পথ বাছলেন মৃণাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.