দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: শুক্রবার বিকেলে খেলতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) জয়নগরের উত্তরপাড়ার বছর বারোর এক পড়ুয়া। রাতভর তল্লাশিতেও তার হদিশ মেলেনি। বরং সকাল হতেই মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে বাড়িতে। সেই ফোনের সূত্র ধরেই নিখোঁজ কিশোরের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। কিন্তু কেন শেষ করে দেওয়া হল তরতাজা প্রাণ? এ বিষয়ে এখনও সম্পূর্ণ অন্ধকারে তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই ষষ্ঠশ্রেণির ছাত্রের নাম তুষার চক্রবর্তী। অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার বিকেলে খেলতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় সে। কিন্তু সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও আর বাড়ি ফেরেনি। বহু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের হদিশ না পাওয়ায় অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই ছাত্রের বাবা-মা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন যায় তুষারের বাবার ফোনে। জানানো হয়, ওই কিশোরকে অপহরণ করা হয়েছে। ৫ লক্ষ টাকা দিলেই তবে মুক্তি দেওয়া হবে তাকে। ফোন পাওয়া মাত্রই থানায় যায় চক্রবর্তী পরিবার।
জানা গিয়েছে, ওই ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে পুলিশ জানতে পারে সেটি তুষারদের প্রতিবেশী এক কলেজ পড়ুয়ার নম্বর। তড়িঘড়ি মনিরুল শেখ নামে ওই যুবককে নিয়ে আসা হয় থানায়। টানা জেরা করা হয় তাকে। প্রথমে গোটা বিষয়টি অস্বীকার করলেও অবশেষে ভেঙে পড়ে সে। জেরায় স্বীকার করে নেয় অপহরণের কথা বলে ফোন ও মু্ক্তিপণ চাওয়ার বিষয়। কিন্তু এখন কোথায় তুষার? এপ্রশ্ন করতেই মনিরুল জানায় এলাকারই একটি মাঠে লুকিয়ে রাখা হয়েছে ওই পড়ুয়ার দেহ। ধৃতের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাঠে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় দেহ। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু কেন খুন করা হল ওই কিশোরকে? পিছনে লুকিয়ে কোন কারণ? তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.